৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাবির শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর একটি মিছিল বের করা হয়। এ সময় বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিলে যোগ দেন। পরে মিছিলটি ভিসি চত্বর হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘গোলামী না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘হাইকমিশনে/আগরতলায় হামলা কেন, দিল্লি তুই জবাব দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আমরা কী চাই, আজাদি আজাদি’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে, প্রতিবেশী হিসেবে ভালো সম্পর্ক থাকবে। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে আমাদের রাজা-প্রজার সম্পর্ক হতে পারে না। ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলার জন্য অবশ্যই ভারতকে ক্ষমা চাইতে হবে।

তারা বলেন, ভারতকে বলতে চাই— এ দেশে আর আওয়ামী লীগের ক্ষমতা নেই। সুতরাং তারা যেন আওয়ামী লীগের আমলের মতো করে এ দেশে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা না করে। দিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, শরীরে এক ফোটা রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না। যেভাবে আমরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছি সেভাবেই আমরা দিল্লির আগ্রাসনও রুখে দেব।

এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ভারত বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা করে এক নগ্ন ইতিহাস রচনা করেছে। ভিয়েনা কনভেনশনের বিপরীতে গিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। ভারত তাদের আচরণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে তারা বিশ্বসভ্যতা এবং ভদ্রতাকে ধারণ করে না। ভারত সরকারকে তাদের এমন নির্লজ্জ আচরণের জন্য বাংলাদেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি বলেন, ভারতের ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের সর্বত্র বিদ্যমান। ভারতের তৈরি মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ আমাদেরকে হত্যা করার জন্য ডাকসুতে হামলা করেছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় দেখা যায় সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো অনেক সামরিক লোক হিন্দিতে কথা বলছে। ভারতের অনুগত হাসিনাকে রক্ষা করতে বিজেপি সরকার তাদেরকে এদেশে পাঠিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যদি না খেয়েও মারা যায়, তবু দেশকে বিক্রি করব না। ভারত বাংলাদেশে নিয়ে খেললে আমরা সেভেন সিস্টার নিয়ে খেলব। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হামলায় সেভেন সিস্টার চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে।

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

এই বিভাগের আরও খবর

ইতিহাস গড়ে যুব বিশ্বকাপ হকিতে বাংলাদেশ

ওমানের মাসকাটে চলমান এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ হকিতে থাইল্যান্ডকে ৭-২ গোলে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের দল বাংলাদেশ। যার ফলে প্রথমবারের মতো হকির যুব বিশ্বকাপে

বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় আটক ৭ জন

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশ মিশনে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, এ ঘটনার কারণে ত্রিপুরা সরকার মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে

বাংলাদেশ আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে নামালো

শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক কমে যাওয়ায় আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। কয়েকশ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া নিয়ে মতবিরোধের মধ্যেই এমন

ভারতকে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ ক্রীড়া উপদেষ্টার

যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পরামর্শ দিয়েছেন – ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে দেশটিকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সহায়তা

Scroll to Top