দুর্বার রাজশাহীর মালিক শফিকুর রহমান ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধে শুরু থেকেই নানান টালবাহানা করছিলেন। টাকা না পেয়ে দেশেও ফিরতে পারছিলেন না বিদেশি ক্রিকেটাররা। এমন বিশৃঙ্খল অবস্থায় যথা সময়ে নিয়মমাফিক ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ না করলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। আইনশৃঙ্গলা বাহিনী শফিকুর রহমানকে হেফাজতে নেওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন রাজশাহীর মিডিয়া ম্যানেজার ও সাবেক ক্রিকেটার মেহেরাব হোসেন অপিও।
পারিশ্রমিক না দেওয়ার বিষয়টি দেশের গণমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে মনে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এমন টালমাটাল অবস্থা সামাল দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের পাওনা বুঝিয়ে দিতে ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজশাহীর বিতর্কিত মালিক শফিকুর রহমানকে।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে এক প্রেস রিলিজে এ খবর জানায় দেয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
প্রেস রিলিজে বলা হয়, ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শফিকুর রহমানকে। সঙ্কট নিরসনে সমাধান জানতে চাইলে নিজের দোষ স্বীকার করেন তিনি। এরপর ২৫ শতাংশ হারে ৩, ৭ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি তথা তিন কিস্তিতে দলের সমস্ত পাওনা পরিশোধ করবেন বলে আশ্বাস দেন ।
এছাড়াও প্রতি কিস্তিতে খেলোয়াড় ছাড়াও দল সংশ্লিষ্ট সকলেই অর্থ বুঝে পাবেন বলেও নিশ্চয়তা দেন শফিক। অন্যথায়, তার বিরুদ্ধে যেকোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে মর্মে মুচলেকাও দিয়েছেন তিনি।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বিপিএলে নানা অনিয়মের আদ্যোপান্ত অনুসন্ধানে কাজ করছে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।