শাহজাহান সাজু কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জের আনাচে-কানাচে, রাস্তার ধারে, বাড়ির আঙিনায় হলুদ রঙের তোখায় তোখায় আমের মুকুলের মনকাড়া ঘ্রাণে ঘ্রাণে মৌমাছির মৌ মৌ শব্দে জানান দিচ্ছে বসন্ত চলে এসেছে। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে।
পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের ডালপালা। এমনই দৃশ্যের দেখা মিলেছে জেলার বিভিন্ন গ্রামে। দৃশ্যটি যে কাউকেই কাছে টানবে। দুরন্ত শৈশবে কাঁচা-পাকা আম পাড়ার আনন্দ অনেকেরই স্মৃতিতে চির অমর।
জেলার প্রায় সব এলাকায় মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছ। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো। বাগানগুলোতে রয়েছে আম্রপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, হাঁড়িভাঙা জাতের গাছ। তবে ছোট আকারের চেয়ে বড় ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল এসেছে।
তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বেশি ফলনের আশা করছেন কিশোরগঞ্জের বাগান মালিকরা। বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, আম গাছে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ আমগাছে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তারা আমের ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। জেলায় বছরজুড়ে নিয়মিত পরিচর্যা, গাছের গোড়ায় বাঁধ দিয়ে পানি সেচের ফলে গাছ নিয়মিত খাদ্য পাচ্ছে। এতে পরিশ্রমের ফলও মিলছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণের এমনই চিত্র দেখা গেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন আমবাগান চাষী ও বাড়ির আঙিনার আম বাগান কৃষক কৃষাণীদের।