মোহাম্মদ রকিবুল হক, ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারী ঈদগাঁ এলাকায় বুধবার(১৯ ফেব্রুয়ারি২০২৫) সকালে শহরে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার সময় বাস ও সিএনজি চালিত টেক্সির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার আমতল বড় বাড়ী এলাকার মাষ্টার হাসানের মেঝ ছেলে কামরুল ইবনে হাসান(৪০)ও গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর মৃত্যু বরণ করেন পাইন্দং মোল্লার বাড়ীর মোঃ ইমাম হোসেন (৪৫)।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।দুইজন সম্ভবনাময় যুবকের মৃত্যুতে পুরো ফটিকছড়ি জুড়ে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
এলাকায় গিয়ে জানা যায় কামরুল ইবনে হাসান বিয়ে করেছেন বছর খানেক আগে।মায়ের সেবাশুশ্রূষার জন্য গ্রামের বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়া আসা করত।প্রতিদিনের ন্যায় আজ সকালে চট্টগ্রাম শহরে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে।মো:ইমাম হোসেনও ব্যবসার কাজে শহরে যাচ্ছিলেন।তিনি ফটিকছড়ি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর যুব ও ক্রিড়া বিভাগের সভাপতি মো:নবীর হোসেন মাসুদের বড় ভাই।নিহত মো:ইমাম হোসেনের ৩টি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
নিহতের বাড়িতে তার স্ত্রী,অবুঝ কন্যা আর মায়ের আহাজারিতে পুরো এলাকা নিস্তব্ধ।মৃত্যুপরী খাগড়াছড়ির সড়কে প্রতি বছর শত শত প্রাণ ঝরে যায় ওরশের লাগামহীন গাড়ি আর ভক্তবৃন্দের বেপরোয়া যাতায়াতে।মাইজভান্ডার ওরশে আসা বড় বাসগাড়ী গুলো রীতিমতো ফটিকছড়ি-হাটহাজারী সড়কের ছোট যানবাহনের জন্য ঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ।মাইজভান্ডার দরবারের গাড়ী গুলো কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র পার্কিং করে যা এ অঞ্চলের সড়ক দুর্ঘটনায় অন্যতম কারন।