ইকবাল মাহমুদ, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ
দেশব্যাপী বেড়ে চলা ধর্ষণের প্রতিবাদে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। প্রতিবাদকারীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই’— বিভিন্ন স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করে তোলে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাউন্সেলিং (সাইকোলজিস্ট) মোছা. আদিবা আক্তার বলেন, আমাদের সমাজে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যমান আইন থাকা সত্ত্বেও যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আর নীরব থাকতে পারি না। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ গড়ে তুলি এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করি।
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী নওশিন আনজুম নিধি বলেন, আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি মানবিকতার তাগিদে। আজকের দিনে এসে ছোট শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্করাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। নারীরা একা চলাফেরায় অনিরাপদ বোধ করছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যদি ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়, তবে অন্য অপরাধীরাও এমন কাজ করতে ভয় পাবে। আমরা চাই, ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত হোক।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তফা কামাল বলেন, ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার অন্যতম কারণ হলো সমাজের আত্মকেন্দ্রিকতা। মানুষ অন্যের বিপদে কথা বলতে শিখছে না। যতদিন মানুষ প্রতিবাদ করতে শিখবে না, ততদিন আমাদের মা-বোনেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। আমরা এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।
ডিবেটিং সোসাইটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাদমান জামান বলেন, ফেসবুকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের খবর দেখতে পাই। এতে পরিবারের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব, কিন্তু এই ক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থ। আমরা চাই এ দেশে সবাই নিরাপদে চলাফেরা করতে পারুক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে, যা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। সমাজে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ানোর পাশাপাশি এসব ঘটনা বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তুলছে।