দুই ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে গাজীপুর থেকে বুধবার রাতে রাজবাড়ীতে ফিরছিলেন বড় ভাই গামের্ন্টসকর্মী মনিরুল ইসলাম ওরফে মমিন। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে মধ্যরাতে বড় ভাই মমিনকে আনতে মোটরসাইকেল নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে যান ছোটভাই সুমন (বিয়ের পাত্র)। ফেরার পথে রাত ১২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার মকবুলের দোকান এলাকায় একটি ইটভাটার মাটিবাহী ডাম্পট্রাকের চাপায় দুই ভাই নিহত হন।
বিয়ে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আনন্দের পরিবর্তে একসঙ্গে দুই ছেলেকে হারিয়ে আহাজারি করছেন স্বজনরা। আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মোকছেদ আলী সরদারের মেজ ছেলে সামিউল ইসলাম শামীম আর আগামীকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম সুমনের বিয়ের দিন ছিল। রাতে আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে হয়েছে দুই ভাইয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। আগামী শনিবার দুইজনের একসঙ্গে বৌভাত অনুষ্ঠানের কথা ছিল।
নিহতদের ফুফাতো ভাই দুলাল হোসেনসহ স্থানীয়রা বলেন, ওরা তিন ভাই। মেজ ভাই শামীমের আজ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ছোট ভাই সুমনের বিয়ে। রাত ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত বাড়িতে দুই ভাইয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়েছে। বড় ভাই মমিন গাজীপুরের একটি গামেন্টসে চাকরি করতেন এবং তার আড়াই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। মমিন অফিস শেষ করে বিয়ে উপলক্ষে বাড়ি আসছিলেন। বড় ভাইকে আনতে দৌলতদিয়ায় মোটরসাইকেল নিয়ে যান ছোট ভাই সুমন। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় একসঙ্গে দুই ভাই মারা যান। বিয়ের আনন্দের পরিবর্তে এখন বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রাজবাড়ীর আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার এসআই এম আল মামুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। তবে পালিয়েছে ট্রাকের চালক ও হেলপার। এ বিষয়ে নিহতদের ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন এবং পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।