মোঃ সাজেল রানা, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (শুক্রবার): আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস মূলদল) এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ মূলদল) এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ের ফলে রাঙামাটির বন্দুক ভাঙ্গা রেঞ্জের মারিচুগ মৌন ও যমচুগ এলাকা এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। এই অঞ্চলে আঞ্চলিক সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসের কারণে জনগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে সেনাবাহিনী ওই এলাকায় সন্ত্রাস দমনের জন্য অভিযান পরিচালনা করেছিল। অভিযানে ইউপিডিএফ (মূলদল) এর সশস্ত্র সদস্য নিহত হন এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, সন্ত্রাসীদের একাধিক ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। যদিও সেনাবাহিনী ওই এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল করতে সক্ষম হয়েছিল, তবে সেনাবাহিনী ওই এলাকা ত্যাগ করার পর আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ আবার শুরু হয়, ফলে স্থানীয় জনগণ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।চলতি মাসে কয়েকবার জেএসএস (মূলদল) এবং ইউপিডিএফ (মূলদল) এর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টহল দল মারিচুগ মৌন ও যমচুগ এলাকায় অভিযান চালায়। তবে, সশস্ত্র গ্রুপ দুটি তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন ক্যালিবারের ২৪৭টি গুলির খোসা এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করে।
এখনও পর্যন্ত সেনাবাহিনী ওই পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের পরও ওই এলাকায় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড পুরোপুরি দমন করা সম্ভব হয়নি।