জাহিদুল হক, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জে রায়গঞ্জ উপজেলায় পাচিলিয়া ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন হোড়গাতী এলাকায় মেসার্স সাকিব সিএনজি এন্ড এল.পি.জি রি-ফুয়েলিং ষ্টেশনে (এলপিজি) সার্ভিস নামের একটি ফিলিং স্টেশনে ঝুঁকি নিয়ে সিলিন্ডারের বোতলে ভরে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে এসব বহনযোগ্য বোতলে ভর্তি করে এলপিজি গ্যাস বিক্রি করে যাচ্ছেন তারা।
এতে যে কোনো সময় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তার পরও দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারণে তাদের কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি অথচ বিস্ফোরক আইনে বলা আছে স্বয়ংক্রিয় ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ কাজে নিয়োজিত এলপিজি বিতরণ স্টেশন হতে মোটর যানে বা অন্য কোনো স্বয়ংক্রিয় ইঞ্জিনের সঙ্গে সংযুক্ত জ্বালানি ধারণ পাত্র ব্যতীত অন্য কোনো বহনযোগ্য পাত্রে এলপিজি ভর্তি করা যাবে না। আর এ আইন ব্যাহত হলে ২-৫ বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের সরকারের দোসর সাবেক সাংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার ভাগিনা রিজভী । সে জনসাধারণ কথা চিন্তা না করে প্রতিনিয়ত সিলিন্ডার বোটলে ভরে গ্যাস বিক্রি করছে। সেই ক্ষমতার বলেই অবৈধভাবে বাজার থেকে একশ টাকা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে এসব গ্যাস।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তির প্রক্রিয়া মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। ভর্তিকালীন বিস্ফোরণ হয়ে শতভাগ মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। এসব স্টেশনের কারণে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
এবিষয়ে মেসার্স সাকিব সিএনজি এন্ড এল.পি.জি ফিলিং স্টেশন প্রাঃ মো রিজভীকে একাদিকবার ফোন দিয়েও ফোন রিসিভ করেন নি। ম্যানেজার মোঃ মাসুদ রানার সাথে কথা বললে সে বলে রাতে আমি ছিলাম না রাতে ডিউটিতে যে ছিলো সে তুলেছে আমি নির্শেদ করছি আর সিলিন্ডার বোটলে গ্যাস তুলে দিবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেসার্স সাকিব সিএনজি এন্ড এল.পি.জি রি – ফুয়েলিং স্টেশনটি ২০১৮ সালের দিকে এলপিজি গ্যাস বিক্রির অনুমোদন পায় প্রতিষ্ঠানটি। অনুমোদন পাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তারা শুরু করে পাইকারি ও খুচরাভাবে বহনযোগ্য বোতলে এলপিজি ভর্তির অবৈধ কারবার।
গ্যাস নিতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, গ্যাস বিক্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে এক সিলিন্ডার গ্যাস নিতে গেলে এক হাজার ৫০ থেকে ১১শ টাকা লাগে। কিন্তু এখানে ৫০০ টাকা দিলেই ১০ লিটার গ্যাস পাওয়া যায়। তবে এভাবে গ্যাস নেওয়া অনিরাপদ ও অপরাধ সে বিষয়ে তারা অবগত নন বলেও জানান তারা।
সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক রাজশাহী, অশোক কুমার দাস বলেন এটা আইনগত অবৈধ ঘটনার তদন্ত যাচাইয়ের করে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।