মো. আবু রায়হান, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী কলেজে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফরম পূরণ ফি অন্যান্য সরকারি কলেজের তুলনায় কয়েক হাজার টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, এত বেশি ফি পরিশোধ করা অনেকের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী কলেজ শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কলেজ অধ্যক্ষের কাছে এক স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে কলেজ অধ্যক্ষের রুমে স্মারকলিপি দেয় রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদল।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘রাজশাহী কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। অনেক শিক্ষার্থীর বাবা কৃষক, শ্রমিক বা ভ্যান চালক, আবার কেউ কেউ নিজেই টিউশনি বা পার্টটাইম কাজ করে পড়াশোনার খরচ চালায়। এমতাবস্থায় কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত ফরম পূরণ ফি পরিশোধ করা অনেকের জন্যই কষ্টসাধ্য।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী সরকারি কলেজগুলোর তুলনায় রাজশাহী কলেজের ফরম পূরণ ফি অনেক বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের প্রতি অমানবিক ও বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মনে করছেন তারা।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘গত বছর ফরম পূরণ ফি কমানোর জন্য রাজশাহী কলেজ প্রশাসনকে অবগত করা হলে, অধ্যক্ষ মহোদয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করেন যে, ২০২৫ সাল থেকে ফি কমানো হবে। কিন্তু বর্তমানে কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত ফরম পূরণ ফি চার্টের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রশাসনের কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই। যা শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ওপর অমানবিক আচরণ ও জুলুমের শামিল। আমরা বিশ্বাস করি, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া যেভাবে দেশের সব মহলে পূরণ হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণ করা হয়েছে, ইতিহাস ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ দেশসেরা রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণ করে, কলেজ প্রশাসন বিচক্ষণতার পরিচয় দিবে এবং প্রমাণ করবে তারা শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন।’
এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ (আবির) বলেন, ‘চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের জন্য যে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে, সে জন্য আমরা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। গত বছর যখন ফ্যাসিবাদ সরকার ক্ষমতায় ছিল তখনো আমরা ফরম ফিলাপ ফি কমানোর দাবি জানিয়েছিলাম। সামনে বছর কম হবে সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এবারও তা কার্যকর করা হয়নি। এখন তারা বিভিন্ন হিসাব দেখাচ্ছে ও কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়। আসলে এগুলো কোনোটায় যৌক্তিক না। আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফি কমানোর দাবি জানিয়েছি এবং এর যৌক্তিক সমাধান চাই।’