মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সাতটি ইউনিয়ন রয়েছে। নিকলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। পানির স্তর দিনদিন নিচে নেমে যাচ্ছে যার ফলে গৃহস্থলী কাজের ব্যহতি হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশিরভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট করে বহুতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।নিকলী উপজেলায় সাধারণত ২৩ ফুট নিচে নামলে পানিতে তেমন একটা ওঠেনা। আর যদি ২৫ ফুটের নিচে চলে যায় তাহলে তো পানি উঠানো একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়বে এখন বর্তমানে পানির স্তর ২৫ ফুট এর নিচে টিউবওয়েল মিস্ত্রিদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম। তাই পানি তোলা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
মটর দিয়ে পানি ওঠাতে পারছে না যার ফলে কৃষকরা ও দুর্যোগ পোহাচ্ছে।শতকরা ৮০টির উপরের টিউবওয়েলে পানি উঠছে না।জারইতলা, দামপাড়া, সিংপুর,কারপাশা,ও নিকলী সদর এলাকার মানুষের বাড়িতে নলকূপ গুলো ফোটায় ফোটায় পানি উঠছে।এইসব এলাকায় বাসা বাড়িতে মটর দিয়ে পানি উঠেই না। অধিকাংশ পরিবার যাদের বাড়িতে ১ হাজার ফুটের টিউবওয়েল বসানো আছে তাদের বাড়িতে গিয়ে ভীড় জমাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন পানির স্তর নিচ্ছে নেমে যাওয়ায় এক মাস ধরে উপজেলার ৮০ শতাংশ নলকূপের পানি উঠছে না। নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পাইপলাইনের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পানির সমস্যা সমাধানে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
নিকলী সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় সরকারিভাবে পাম্প বসিয়ে অনেকেরই পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছে গত দুই তিন বছর আগে এখন পর্যন্ত নিকলী সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় বাদ পড়েছে ঐসব সুবিধার থেকে বঞ্চিত।
নিকলী সদর ইউনিয়নের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সাথে কথা বললে তারা বলেন ষাইটধার পর্যন্ত সরকারিভাবে পানি ব্যবস্থা করা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের কোনরকম পানির ব্যবস্থা করা হয় নাই এটা কি বৈষম্য নয়।