মোছাঃ মাহমুদা আক্তার নাঈমা, জাককানইবি প্রতিনিধিঃ
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার শিক্ষকের সম্মানহানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালো শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামের সম্মানহানি ও জোরপূর্বক পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন।
তাদের দাবি, হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে কোনো সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়াই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায্য। শিক্ষার্থীদের মতে, প্রশাসন চাইলে আগে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারত, কিন্তু তা না করে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বুধবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যেসব দাবি তোলা হয়েছিল, সেগুলো অযৌক্তিক। আমি সেগুলো বিবেচনার জন্য সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু একপর্যায়ে আমাকে জিম্মি করে দাবিগুলো বাস্তবায়নের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়।’
তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়। আমরা এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—
১. বিদ্রোহী হল প্রভোস্টের সম্মানহানির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত ছাড়া নেওয়া সব অন্যায্য সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
৩. যেসব অনলাইন পেজ ও গ্রুপ শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মার্চ বিদ্রোহী হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন করেন একদল শিক্ষার্থী। এ সময় তারা শিক্ষকদের নিয়ে নানান অশালীন শব্দ ব্যবহার ও অশোভন আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনের একপর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম সব দাবি মেনে নেন এবং আগামী রোববারের মধ্যে তা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। তবে, উপাচার্যের সাম্প্রতিক মন্তব্যে উঠে আসে, তিনি শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন