মোঃ মাহিন খান, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের উদ্যোগে এক প্রাণবন্ত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলা কার্যালয়ে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন রাজাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলার সভাপতি মোঃ আব্দুল কুদ্দুস (দারোগা)। তিনি বলেন, “শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। শ্রমিকদের পরিশ্রমেই দেশের উন্নয়নের চাকা ঘুরে। তাই তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা গেলে দেশ সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যাবে। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।” শ্রমিকদের যথাযথ পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা গেলে তারা আরও উৎসাহিত হয়ে কাজ করতে পারবে, যা দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। তাদের যথাযথ সম্মান ও ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সবসময় শ্রমজীবী মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমজীবী আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এ সংগঠন শ্রমিকদের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও শ্রমিকবান্ধব সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে। শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ন্যায়সংগত দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসহাক বিন আব্দুল আউয়াল, ইসলামী আন্দোলন রাজাপুর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন রুম্মান গাজী, উপজেলা সহ-সভাপতি মোঃ আল আমিন দোহারি, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাইজিদ হক ফরাজী, উপজেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি সবুজ শিকদার, ইসলামী যুব আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম।
এছাড়াও স্থানীয় শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মীবৃন্দ ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলটি এক মিলনমেলায় পরিণত হয়, যেখানে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও কল্যাণমূলক কাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।