সৈয়দ মাকসুমুল হক চৌধুরী সিয়াম, মোহনগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মোহনগঞ্জে (নেত্রকোণা) চাঁদা না পেয়ে যুবদল নেতা ও তার সহযোগীরা এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে আহত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ই মার্চ) বিকেলে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের পাথরঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পৌর যুবদলের সদস্যসচিব ফয়সাল আহমেদ খোকনের নেতৃত্বে তার অনুসারী ১০-১২ জন হামলায় অংশ নেয় বলে জানান আহত জসীম উদ্দীনের স্ত্রী নিশা আক্তার।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম ব্যবসায়ী আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জসীম উপজেলার পানুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাজধানীভিত্তিক রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স আফিফ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী। তিনি পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করেন।
জসীমের স্ত্রী নিশা জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে যুবদল নেতা খোকন ও তার সহযোগীরা জসীমের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ার তাঁরা ক্ষিপ্ত ছিলেন। জসীম পরিবার নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। আজ তিনি জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে মোহনগঞ্জ বাজারে যান ইফতারি কিনতে। পাথরঘাটা এলাকায় ইফতারি কেনার সময় খোকনসহ অন্যরা অতর্কিত হামলা চালান। রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে জসীমকে গুরুতর জখম করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা পরে জসীমকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিশা বলেন, ‘জসীমের মাথায় রামদার গভীর কোপ লেগেছে। হাত-পা রড দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলেছে। এ ছাড়া শরীরের অনেক জায়গায় রামদার কোপ লেগেছে। এ ঘটনায়আমরা মামলা করব।’ এ ব্যাপারে জানতে যুবদল নেতা খোকনের মোবাইল ফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল বলেন, এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।