মোঃ বাদশা প্রামানিক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কৃষি কর্মকর্তার দিকনির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে মানসম্পূর্ণ মানসম্পন্ন বীজ আলুর পাম্পার ফলন পেয়েছে চুক্তিবদ্ধ কৃষকেরা ।
২০২৪-২৫ ইং উৎপাদন মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ডোমার শাখার সাথে ৭৬ জস কৃষক ৩০টি ব্লকে মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদনে চুক্তিবদ্ধ হয়। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হতে শষ্যবন্ধকী লোনের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ চাষিদেরকে বীজ,সার কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক সরবরাহ করা হয়।
বিএডিসির ডোমার কৃষি ফার্ম শাখার উপপরিচালক (টিসি) (অঃ দাঃ) কৃষিবিদ মোঃ আবু তালেব সাথে কথা হলে তিনি বলেন গত ২০২৩-২৪ উৎপাদন মৌসুমে ২৯৫.৪০ একর জমিতে উৎপাদিত বীজ আলুর পরিমাণ ছিল ১৫২২.৮৫০ মেঃটন। ৩১ জন চুক্তিবদ্ধ চাষিকে ৫,৪৩,৩০,৮৫০/- এর চেক প্রদান করা হয়। এতে বীজআলু উৎপাদন খরচ ও বিভিন্ন আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে একর প্রতি ১,১২,০০০/-করে লাভবান হয়েছে চুক্তিবদ্ধ কৃষকরা।
চুক্তিবদ্ধ চাষীর মাধ্যমে ১২ টি জাতের(এস্টারিক্স,মিউজিকা,গ্রানোলা,কুইন অ্যানি, কারেজ, কুম্বিকা,এলোয়েট,৭ ফোর ৭,সানতানা,কার্ডিনাল,ডায়মন্ট ও বারিআলু৬২) ৪১৮.০০ একর ভিত্তি এবং ১১ টি জাতের (মিউজিকা,গ্রানোলা,কারেজ,কুম্বিকা, সানতানা, কার্ডিনাল,ডায়মন্ট,এস্টরিক্স,সানসাইন,বারীআলু৭২ ও ভ্যালেনসিয়া) ৩৩৫.০০ একর প্রত্যায়িত সহ! সর্বমোট ৭৫৩.০০ একর জমিতে বীজআলু উৎপাদন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ডোমার শাখার সহকারী পরিচালক সুব্রত মজুমদার জানান, ২০২৪-২৫ উৎপাদন মৌসুমে ৭৫৩.০০ একর বীজ আলু উৎপাদনের জন্য রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হতে ৫,৭৫,২০,৪২০/- শষ্যবান্ধবী হ্মণ গ্রহণ করা হয়।৭৫৩.০০ জমিতে ৪৫০০ শত মেট্রিকটন বীজ আলু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা হতে চুক্তিবদ্ধ চাষীরা প্রায় ১৬ কোটি টাকা বীজ আলু বাবদ পেমেন্ট পাবেন। এতে তাদের প্রায় ৮ কোটি টাকা মুনাফা হবে বলে আশা করছি।
চুক্তিবদ্ধ চাষী তৈয়ব আলী বাবুর বলেন, এই বিএডিসির মহানুভবতায় বর্তমানে আমাদের এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদেরকে বীজআলু উৎপাদনে নিয়োজিত করা হয়েছে এতে অত্র এলাকার মানুষের মধ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এলাকার বেকার শিক্ষিত যুবকেরা নিজ উদ্যোগী হয়ে বীজ আলু উৎপাদন করে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
আরেক চুক্তিবদ্ধ চাষী মিজানুর বলেন, বর্তমানে দন্ডায়মান ফসলের সার্বিক অবস্থা ভালো পর্যায়ে রয়েছে যা হতে লক্ষ্য মাত্রা অনুযায়ী গুণগত মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। উৎপাদিত বীজআলু দেশের চাষীদের আলুর ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।