মোঃ সাজেল রানা:
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের শাস্তি সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড করার বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন সংশোধনী আইন পাস করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদে এই আইনের সংশোধনীগুলো গৃহীত হয়।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংশোধিত আইনের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা হয়। নতুন আইনে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এবং এর শাস্তি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনের সংশোধনী অনুযায়ী, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করলে অপরাধীর শাস্তি হবে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড। এছাড়া, এই আইনের আওতায় বোলাতকারের একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, আইনটিতে ডিএনএ টেস্টের দ্রুততার বিষয়েও আলোচনা চলছে, যাতে নির্যাতনের প্রমাণ দ্রুত পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলার মধ্যে এই সংশোধনীগুলো আলাদা সেকশনে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করবেন।
এ সময়, চৈত্র সংক্রান্তির উৎসব উপলক্ষে পার্বত্য তিন জেলার জনগণের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এ আইনটি পাস হওয়ার ফলে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রতিরোধে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।