আসগর সালেহী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
রবিবার (২৩ মার্চ) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতের পক্ষ থেকে বলা হয়, “গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষের সমর্থন ও সমন্বয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত নির্দিষ্ট কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘ভারতীয় দালালদের’ সক্রিয় ভূমিকার কারণে ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনা, পিলখানা হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন গুম-খুন ও হত্যার বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। সংগঠনটি এসব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।
হেফাজত নেতারা বলেন, “জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতভেদ তীব্র আকার ধারণ করেছে। কোনো একক গোষ্ঠী বা ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর এটি নির্ভর করা উচিত নয়। বরং রাষ্ট্রীয় সংস্কার, গণহত্যার বিচার, জাতীয় ঐকমত্য ও জনগণের চাহিদার ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে।”
তারা আরো বলেন, “আমরা পুরনো ফ্যাসিস্ট কাঠামো ও দাসত্বের শৃঙ্খলে ফিরে যেতে দেব না। মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্ম, সংস্কৃতি ও শিক্ষা অটুট রেখে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার করতে হবে। পাশ্চাত্য ও হিন্দুত্ববাদী চেতনা নির্ভর ভোগবাদী দর্শনে কোনো কল্যাণ আসবে না।”
বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের নেতারা অভিযোগ করেন, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য ‘অদক্ষ ও ব্যর্থ’। তারা বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের বদলে কেউ কেউ হঠাৎ পাওয়া ক্ষমতা ভোগ করছেন। ফলে রাষ্ট্র সংস্কার ও সংকট মোকাবিলায় উপদেষ্টা পরিষদে চৌকস ও বিপ্লবী মানসিকতার ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া জরুরি।”
এছাড়া, হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিস্ট আমলে দায়ের করা’ সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।