ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি
ঈদের দীর্ঘ ১৬ দিনের ছুটি শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস আবারো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণবন্ত হয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরে রবিবার (৬ এপ্রিল) থেকে জবির সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
গত ২৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত নোটিশ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছুটির ঘোষণা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জানিয়ে দেওয়া হয়। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, শব-ই-কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি পরিষেবাগুলো চালু ছিল বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ক্যাম্পাসে এখনো বহু শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। এখনো অনেকে ঢাকার বাহিরে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে। ফলে ক্যাম্পাসে-ক্যান্টিনে তুলনামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের ভিড় কম।
জবির ফিন্যান্স বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল বলেন, “ঈদের ছুটির সময় যেদিন আমি ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আমার নিজের পরিজনের কাছে যাচ্ছিলাম সেদিন আমার কাছে মনে হচ্ছিল যেন আমি বিশ্বজয় করে ফেলেছি। নিজের পরিজনের কাছে ফিরে যাবার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল। কিন্তু যখন ঈদের ছুটি ফুরিয়ে এলো, আমার ঢাকায় চলে যাবার সময় এলো, তখন মনটা খুব খারাপ লাগছিল।”
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ইদ্রাক জানান, “ঈদের ছুটিতে যখন অনেকদিন পর বাড়িতে গেলাম তখন আমার কাছে মনেই হয়নি, আমি কখনো ঢাকাতে ছিলাম। নিজের পরিজনদের সাথে থাকার মুহূর্তগুলি আমাকে যেন ঢাকার কথা ভুলিয়ে দিল।
নিজের আপনজনদের কাছে যাবার মুহূর্তটি সত্যিই আনন্দদায়ক। যেদিন ঢাকায় চলে আসি সেইদিন আমার বাড়ির জন্য, নিজের আপনজনদের জন্য মনটা খুব কাঁদছিল। ওদের ছেড়ে ঢাকায় চলে আসতে একদমই ইচ্ছে করছিল না।”
এছাড়া ঢাকার বাহিরে গ্রামের বাড়ি থেকে আসা আরো শিক্ষার্থীদের একাংশ নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঈদ কিছুটা আনন্দের বাড়তি মাত্রা যোগ করে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই পরিবার পরিজন রেখে দূরে থাকে। ঈদ সব ব্যস্ততা-পড়াশুনাকে পাশ কাটিয়ে বাড়িতে যাওয়ার উপলক্ষ্য তৈরী করে দেয়। ফলে দীর্ঘদিন পর পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশিদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হওয়ায় আমরা আনন্দিত হই। ঈদে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ায় ক্লাস-পরীক্ষা ইত্যাদি দৈনন্দিন একঘেয়ে কার্যক্রম থেকেও আমরা কিছুটা মুক্তি লাভ করি। তাছাড়া বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঘোরাঘুরি, আড্ডা দেয়াতো আছেই। ঈদ আমাদের জন্য নিয়ে আসে আনন্দের অকৃত্রিম কিছু সময়।”