মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
ইচ্ছামতো নিজের গাছও কাটা যাবে না- এমন আইন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে মানতে হবে কিছু নিয়ম। কিন্তু সব নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াই খোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ার মোড়ের আব্দুল আজিজ ও আজিজুলের বিরুদ্ধে ১৬ টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠছে। যার বাজার মূল্য ৫২০০০ হাজার টাকা বলে স্থানীয়রা জানান।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াই খোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ার মোড়, জে এল নং- ৯৬, খতিয়ান নং- ৩২৩, বি এস দাগ নং- ৩৬৮ এর মোট ২৫ শতক জমির মধ্যে ৭’৫০ শতক কবলাকৃত সম্পত্তির মালিক আব্দুল রশিদ। ওই জমির দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আজিজুলের সাথে বিরোধ চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুর রশিদের কবলাকৃত জমিতে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির ১৬ টি গাছ কেটে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
জমির মালিক আব্দুর রশিদ জানান, ভোগদখলীয় জমিতে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছ রোপণ করেন। রবিবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখেন আব্দুল আজিজ ও আজিজুল ইসলামসহ কয়েকজন ব্যক্তি তার লাগানো গাছগুলো কেটে ও উপড়ে ৩টি নিম, ১০টি মেহগনি (লম্বু) ও ৩টি ইউকালিপটাস গাছ আজিজুল বাড়ীতে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গাছগুলো আটকানোর চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর চড়াও হয়ে মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজিজুল ইসলাম বলেন, বিশ বছর আগে এই জমি ক্রয় করেছি তখন গাছ লাগিয়েছিলাম তাই আমি গাছ কেটে এনেছি।
এ বিষয়ে চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম রেজা বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ৯৯৯ এ যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন তিনি।
নীলফামারী সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) এম আর সাইদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এঘটনায় এজাহার পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।