সজীব হাসান, (বগুড়া) প্রতিনিধি:
গত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৭৩০ ঘটিকায় বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জের ধরে রাশেদ মিয়া(২৭) সাং পাকুল্লা, থানা সোনাতলা, জেলা-বগুড়াকে বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার পাকুল্লা বাজারে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ওৎ পেতে থাকা ২০/২৫ জন সন্ত্রাসীরা দেখতে পেয়ে তাকে হত্যা করার জন্য উদ্যত হয়ে হাতে রামদা, চাকু, ইট, চাপাতি, হকিস্টিক, লাঠি, রড, দা, হাসুয়া, এসএস পাইপ এবং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মারতে থাকলে প্রাণভয়ে তার মোটর সাইকেল ফেলে পাকুল্লা স্কুলের পার্শ্ববর্তী আব্দুল হামিদ মিস্ত্রীর বাড়ীতে আশ্রয় নিলে আসামীগন উক্ত বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে রামদা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে রাশেদ মিয়ার মাথার মাঝখানে কোপ দিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরন করে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মৃত রাশেদ মিয়ার মা বাদী হয়ে বগুড়া জেলার সোনাতলা থানায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার মামলা নং- ০৭ তারিখ-১৭/০২/২০২৫ ইং ধারা- ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ। উক্ত ঘটনার সাথে সাথে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্প এজাহার নামীয় আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।
এর ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, উল্লেখিত হত্যা মামলার ১৯ নং এজাহারনামীয় আসামী বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানাধীন বড় জিনইর এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২ অধিনায়ক মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় অদ্য ০৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাত্র আনুমানিক ০২.৪৫ ঘটিকায় র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়ার একটি চৌকষ আভিযানিক দল বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানাধীন বড় জিনইর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১৯নং আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পবরর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে প্রাথমিক ভাবে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। ধৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য বগুড়া জেলার সোনাতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।