ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:
ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয় এই মিছিল। বাহাদুর শাহ পার্ক হয়ে রফিক ভবনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় এ মিছিল।
এসময় ক্যাম্পাস ‘নারায়ে তাকবীর’,’আল্লাহু আকবার’, ‘বদরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘উহুদের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি’,’প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ফ্রি ফ্রি গাজা’ প্রভৃতি স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে।
সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিন মিয়া বলেন, “সারা বিশ্বে মুসলিমরা নির্যাতিত। এখন গাজার যে অবস্থা তাতে জিহাদ করা ছাড়া উপায় নাই।”
বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, “আমাদের এখন কথা বলার সময় না। আমরা অনেক সমবেদনা দেখেছি। আমাদের এখন একশনে যেতে হবে। আমাদের মুসলিমদের এখন একত্রিত হতে হবে। আমেরিকার এ্যাম্বাসি ঘেরাও করে লাভ নেই। আমাদের মুসলিম দেশ গুলোকে জাগাতে হবে। ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, মিশরকে জাগাতে হবে। এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনো বিবৃতি দিতে দেখলাম না। এখন ফিলিস্তিনের ওপর হত্যাযজ্ঞ চলছে, কিছুদিন পর দেখবেন আপনাদের উপর হামলা হবে। এরপর সৌদি, মিশর, কোনো মুসলিম রাষ্ট্রই পার পাবে না।”
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “মুসলিম বিশ্ব আজ নিজেদের মাঝে বিভেদ-কোন্দল নিয়ে ব্যস্ত আছে। আমাদের ভাইয়েরা বোনেরা আজ ফিলিস্তিনের ভূমিতে মারা যাচ্ছে কিন্তু আমাদের মুসলমানরা বদর আর উহুদের শিক্ষাকে ভুলে যাওয়ার কারণে কিছুই করতে পারছে না। বাংলাদেশসহ সব মুসলিম দেশকে শক্তিশালী হতে হবে। আমাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। এমন অবস্থানে যেতে হবে যাতে আমরা আর কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে না হয়—চাই সেটা অস্ত্র হোক বা কোনো পণ্য।”
এ সময় ক্যাম্পাসে ভাষাশহিদ রফিক ভবনের সামনে জবি শিক্ষক সমিতির সাদারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, আমাদের সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, বাংলাদেশ থেকে ইসরাইলি গণহত্যার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করতে হবে। আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে, ইসরাইলি সকল পণ্য বর্জন করবো। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধু নয়। ইসরায়েলি গণহত্যায় মদদদাতাদের অন্যতম এই যুক্তরাষ্ট্র।”