সজীব হাসান, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
একটি মাত্র এসএমএস ঘিরে কাবিল হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে হাসপাতালে রেখে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তোভোগীর পরিবার। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাবিলের মরদেহ পেয়েছে পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী গ্রামে। নিহত কাবিল হোসেন ওই গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে। নিহত কাবিল হোসেনের স্ত্রী শাপলা খাতুন জানান, গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে মেলায় কথা বলে বের হয়। রাত ১০টায় বাড়িতে না আসায় তাকে মোবাইলে জানানো হয় সন্তানদের ঔষধ নিয়ে আসার জন্য। এরপর ঘুমিয়ে যায়। রাতে আর বাড়িতে ফিরেনি। সকাল ৮টার দিকে খবর পায় হাসপাতালে তার মরদেহ রাখা আছে। রাত ৩টার দিকে ফুফু শাশুরীর ছেলে দেবর সজিব তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল।
সে মারা যাওয়ায় তাকে রেখে সজিব পালিয়ে যায়। শাপলা খাতুন আরো জানান, গত প্রায় সাত মাস পূর্বে সজীবের ভাবীর মোবাইল ভুলক্রমে একটি “নাইস” লেখা এসএমএস যায় আমার স্বামীর মোবাইল থেকে। এ নিয়ে আমার স্বামী ভূল স্বীকারও করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পরিকল্পিতভাবে স্বামী কালিবকে হত্যা করেছে। প্রতিবেশীরা জানান দীর্ঘদিন ধরে সুমাইয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। গতকাল হয়তো মেলা থেকে বাজার করে মোটরসাইকেল নিয়েই তার বাড়িতে গেছে। পরবর্তীতে প্রেমিকা সুমাইয়ার পরিবার তাকে হত্যা করে রাত ৩টার দিকে সজিবের মরদেহ হাসতাপালে রেখে পালিয়ে যায়। সুমাইয়াদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে সজিবের বাড়ি তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবার ও প্রতিবেশীরা। এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, পরকীয়ার জেরে তাকে হত্যা করেছে সুমাইয়ার পরিবার। এবং হত্যাকারীদের বাড়ি থেকে নিহত কাবিলের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ধরার জন্য অভিযান চলছে।