বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণার নতুন এক ফাঁদ পেতে বসেছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। সাধারণ মানুষের সাথে এভাবে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু সংঘবদ্ধ চক্র। অথচ এসব কর্মকাণ্ড চলছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। অনলাইনে সহজেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে এইসব পেইজ ও নম্বর।
ঠিক তেমনই এক প্রতারণার ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে “চাঁদপুর ইলিশ বাজার” নামের একটি ফেসবুক পেইজকে ঘিরে।
জানা গেছে, ওই পেইজের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ইলিশ মাছ বিক্রির নামে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে আসছে মোঃ নাহিদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী যার পরিচয় —
🔸 নাম: মোঃ নাহিদ হোসেন
🔸 পিতা: মোঃ ওবায়দুল বিশ্বাস
🔸 মাতা: মোসাঃ হোসেনয়ারা বেগম
🔸 এনআইডি নম্বর: 3458439634
🔸 ঠিকানা: গ্রাম ও ডাকঘর – শ্রীপুরা, উপজেলা – শ্রীপুরা, জেলা – মাদারীপুর
সম্প্রতি অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ‘চাঁদপুর ইলিশ বাজার’ নামের এই পেইজে আকর্ষণীয় দামে বড় সাইজের ইলিশ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। সেখানে উল্লেখ থাকে যে পণ্যের মূল্য ক্যাশ অন ডেলিভারির মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে, তবে অগ্রিম কিছু টাকা দিতে হবে বুকিং কনফার্মেশনের জন্য।
ভিডিও: প্রতারণার ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সম্প্রতি গাজীপুর থেকে প্রতারণার শিকার নিগার সুলতানা লাবণী এই পেইজ থেকে ৫০১৯ টাকার ইলিশ মাছ অর্ডার করেন। নাহিদের প্রতরণা যেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা না বুঝতে পারেন এজন্য তিনি তার (01979737984) Whatsapp number নম্বরটি ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ট্রেড লাইসেন্স এর স্ক্যান কপি পাঠান।
পেইজ অ্যাডমিন মোঃ নাহিদ হোসেনের দাবিতে প্রতারণার শিকার নিগার সুলতানা লাবণী অগ্রিম ৬০০ টাকা পাঠান এই বিকাশ নম্বরে – 01336-930740. পরবর্তীতে ‘ডেলিভারিম্যান’ পরিচয়ে (01331-770489) আরেকজন ব্যক্তি ফোন করে ইলিশ মাছ ডেলেভারী দেয়ার কথা বলে OTP দিতে বলেন। পরবর্তীতে মোঃ নাহিদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাকী টাকা বিকাশ (01336-930740) অথবা নগদে (01742-575379) অগ্রিম প্রদান করতে বলেন — এই (01979737984) Whatsapp number নম্বরটি ব্যবহার করে। না হলে তিনি OTP দিবেন না বলে প্রতারণার শিকার নিগার সুলতানাকে বলেন। পুরো টাকা বিকাশে প্রদান করার পর কোন মাছ ডেলেভারী না করেই ডেলেভারী ম্যান এবং নাহিদের দুই নম্বরই বন্ধ করে দেয়া হয়। বারবার কল দেয়ার পর একসময় ভুক্তভোগীর নম্বর ব্লক করে দেয়া হয়।
এটি কোনো একক ঘটনা নয়, এ ধরনের প্রতারণা আরও বহু মানুষের সাথেই ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রতারক মোঃ নাহিদ হোসেনের প্রতারণার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ভুক্তভোগী নিগার সুলতানা লাবণী ‘র আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়া চলছে।