ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:
ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে ফারুক হোসেন নামের এক যুবককে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে পালিয়েছেন বাসের চালক ও হেল্পার। মলমপার্টির খপ্পরে পড়ে চেতনানাশক দ্রব্যের শিকার হয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকালে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভিক্টর ক্লাসিক বাসে লুটপাটের শিকার হন এই যুবক। বাসের চালক ও হেল্পার এই যুবককে অজ্ঞান অবস্থায় রেখেই পালিয়ে যান। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইএমএল বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শের আলী তাকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে নিকটস্থ সূত্রাপুর থানার পুলিশ এসে তাকে মিডফোর্ট হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
তদন্তে জানা যায়, ভিক্টর ক্লাসিক বাসে মলমপার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারানো ঐ যুবকের নাম মো. ফারুক হোসেন (৩৭)। তিনি ওমান প্রবাসী ছিলেন। নামাজ পড়তে গিয়ে সেখানে পুলিশের হাতে আটক হন। সেখানে টানা ১৫ দিন কারাভোগ করেন। এরপর মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দেশে ফেরেন তিনি। পরিবারের কেউই তার ফেরার বিষয়টি জানতেন না।
বাংলাদেশে পৌঁছে বিমানবন্দর থেকে সদরঘাটে যাওয়ার জন্য তিনি ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসে পাশে বসা এক ব্যক্তি তাকে বিস্কুট ও জুস খেতে দেয়। এরপর জ্ঞান হারান ফারুক। তার কাছে থাকা স্মার্টফোন ও টাকা-পয়সা সবই লুটপাট হয়ে গেছে।
ফারুক হোসেন বলেন, “ওমানে নামাজ পড়তে গেলে পুলিশ আমাকে আটক করে। ১৫ দিন পর তারা ছেড়ে দেয়। এরপর বাংলাদেশে ফিরে সদরঘাট যেতে বাসে উঠি। বাসে পাশের লোকটি আমাকে বিস্কুট আর জুস দেয়। ওটা খাওয়ার পর আমার আর কিছু মনে নেই।”
এ বিষয়ে সিআইডির ইন্সপেক্টর মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এ সময় ধীরে ধীরে তার জ্ঞান ফিরে আসে। তিনি নিজের নাম বলেন এবং ঠিকানাও জানান, যা জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলে গেছে। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা বুধবার ঢাকায় এসে তাকে নিয়ে যাবেন।’
ভুক্তভোগীকে সহায়তাকারী শিক্ষার্থী শের আলী বলেন, “আমি ক্লাস শেষ করে মেসে ফেরার সময় বাহাদুর শাহ পার্কে ভিক্টর ক্লাসিক বাস চালককে অজ্ঞান অবস্থায় এক যাত্রীকে নামাতে দেখি। পরে আমি তাকে সহযোগিতা করতে গেলে আমার কাছে লোকটিকে হস্তান্তর করে চালক ও হেল্পার পালিয়ে যান।”
এই ঘটনার পরে ভুক্তভোগী ব্যক্তির চিকিৎসাসহ সার্বিক খরচ বহনের দাবি নিয়ে অভিযুক্ত ভিক্টর ক্লাসিকের বাস আটক করে শিক্ষার্থীরা।