মোঃ সাজেল রানা, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:
ঢাকা, ৯ এপ্রিল ২০২৫: রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও থানা পুলিশ গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো: হাসিব চৌধুরী (২৭) এবং আতিক হোসেন ভূইয়া (২৯)।
ডিএমপির তেজগাঁও থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার জন্য ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে। হাসিব চৌধুরী ও আতিক হোসেন ভূইয়াকে রাজধানীর বিমানবন্দর থানার এলাকা এবং চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন (যার মধ্যে একাধিক নারীর ধর্ষণের ভিডিও রয়েছে) এবং একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
তেজগাঁও থানার সূত্রে জানা যায়, এক মাস আগে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে হাসিব চৌধুরীর সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয় এবং তারা বন্ধু হয়। ৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে হাসিব তার প্রাইভেটকারে করে ভিকটিমকে ঘুরতে নিয়ে যায়। এই সময় তার বন্ধু আতিকও উপস্থিত ছিল। পরে তারা ভিকটিমকে কোমল পানির সাথে মদ মিশিয়ে জোরপূর্বক পান করিয়ে অপ্রকৃতিস্থ করে তাকে তেজগাঁও থানার শাহীনবাগ ইম্পেরিয়ান হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে আটকে রেখে সারারাত গণধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরদিন ভিকটিমকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে ফেলে রেখে চলে যায়।এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে তেজগাঁও থানায় গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তেজগাঁও থানা পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং ৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে আতিক হোসেন ভূইয়াকে বিমানবন্দর থানা এলাকা থেকে এবং ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে হাসিব চৌধুরীকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আতিক হোসেন ভূইয়ার কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিও, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও উদ্ধার করা হয়। হাসিব চৌধুরী তার দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।