খাজা মঞ্জুর মাহমুদ, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়াপ্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের চান্দের গ্রুপ ও বারিক দু’গ্রুপে সংঘর্ষে গুরুতর আহত জসিম উদ্দিন (৪০) মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত জসিম উদ্দিন তেরকান্দা গ্রামের চান্দের গ্রুপের মুসলিম মিয়ার ছেলে। জানা যায় তেরকান্দা গ্রামের চান্দের গ্রুপের একজনের একটি সিএনজি চুরি হওয়াকে কেন্দ্র করে একই এলাকার বারিক গ্রুপের আমির আলীর লোকজনকে দায়ী করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজন গত ৭ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাতে ও পরদিন ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে পূণরায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০-৩০টি বসতঘরে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করাসহ উভয় পক্ষের ৫০-৬০ জন আহতসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত চান্দের গ্রুপের জসিম উদ্দিন নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতরাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জসিমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই প্রতিপক্ষের লোকজন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিহত জসিম উদ্দিনের লাশ সরাইল থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে সরাইল থানা পুলিশ।
বর্তমানে গ্রামটিতে পূণরায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, লুটপাটসহ সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এলাকার পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।