নিজস্ব প্রতিবেদক:
পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নির্মিত ‘ফ্যাসিস্ট মুখাকৃতি’ মোটিফটি আগুনে পুড়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে চারুকলা অনুষদ গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রতীকী মোটিফ তৈরি করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতীকী ‘দানবীয় ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি’ মোটিফ অনুষদের দক্ষিণ পাশের গেটসংলগ্ন প্যান্ডেলে সংরক্ষিত ছিল। কে বা কারা সেটি পুড়িয়ে দেয়। এ সময় প্যান্ডেলে থাকা ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফটিও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আগুন লাগার সময় ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, শনিবার ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট, যারা ৫টা ২২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা রুহুল আমিন মোল্লা জানান, অনেক মোটিফ থাকার পরও কেন শুধু দুটি মোটিফ পুড়ল, সেটি রহস্যজনক। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়া আগুনের সূত্রপাত নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। তদন্ত করেই রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।
প্রসঙ্গত, এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ছিল— ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান।’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ প্রধান মোটিফ হিসেবে তৈরি করা হয়। ২০ ফুট উঁচু এই মোটিফটি তৈরি করা হয় বাঁশ, বেত ও রঙ দিয়ে। বাঁকানো শিং, হাঁ করা মুখ ও ভয়াবহ চোখবিশিষ্ট মুখাবয়বটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপক চিত্র হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছিল।