নিজস্ব প্রতিবেদক:
সম্প্রতি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যজুড়ে অন্তত ১৭০টি মাদরাসা সিল করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, এসব মাদরাসা রাজ্য সরকারের শিক্ষা নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে এবং উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা বোর্ড বা রাজ্য শিক্ষা বিভাগে নিবন্ধিত নয়।
রোববার (১৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য সিয়াসত ডেইলি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্যের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলোতে প্রশাসনিক অভিযানের অংশ হিসেবে ১৩ এপ্রিল হলদোয়ানির বনভুলপুরা এলাকায় একটি যৌথ অভিযান চালানো হয়। জেলা প্রশাসন, পৌর কর্পোরেশন এবং স্থানীয় পুলিশের সমন্বয়ে পরিচালিত এ অভিযানে বৈধ নিবন্ধন না থাকায় ৭টি মাদরাসা তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশেষ তদন্ত টিমের জরিপের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শিক্ষার নামে শিশুদের উগ্রবাদের পথে ঠেলে দেওয়া কোনো প্রতিষ্ঠান বরদাশত করা হবে না।” তিনি মাদ্রাসা বন্ধের এই পদক্ষেপকে “ঐতিহাসিক” বলে উল্লেখ করেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযানের এটাই শুরু। আরও প্রায় ৫০০টি মাদরাসা তদন্তাধীন রয়েছে এবং অনিয়ম প্রমাণিত হলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিল করে দেওয়া বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বহু বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল, যা স্থানীয় মুসলিম জনগণের মধ্যে তীব্র উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
নাগরিক অধিকার সংগঠন ও মুসলিম ধর্মীয় নেতারা সরকারের কাছে স্বচ্ছতা ও তথ্যভিত্তিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
একজন আলেম বলেন, “আমরা কোনো বেআইনি প্রতিষ্ঠান চাই না। কিন্তু ন্যায়বিচার ছাড়া কেবল ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিলে তা একটি শান্তিপূর্ণ সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করে ফেলবে।”