মোঃ আশরাফুল ইসলাম, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
(বগুড়া থেকে মোঃ আশরাফুল ইসলাম): বগুড়া সফররত ইরানের মাননীয় রাষ্ট্রদূত H.E. Mr. Mansour Chavoshi বগুড়া জেলার ঐতিহাসিক মহাস্থান মাজার জিয়ারত শেষে মহাস্থান যাদুঘর ও মসলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। গতকাল দুপুরের পরে মাননীয় রাষ্ট্রদূত ও টিমের সদস্যরা ঐতিহাসিক মহাস্থান গড়ে অবস্থিত হযরত শাহ সুলতান বলখী (রহঃ)-এর মাজার জিয়ারত করেন। মাজার জিয়ারতের সময় উপস্থিত ছিলেন মাজার মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জিয়াউর রহমান, মাজার মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
মাজার জিয়ারত শেষে মাননীয় রাষ্ট্রদূত মহাস্থান যাদুঘর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সহযোগিতা করেন মহাস্থান যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা। ঐতিহাসিক মহাস্থান গড়ের মাজার ও মহাস্থান যাদুঘর পরিদর্শন শেষে মাননীয় রাষ্ট্রদূত বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগরে অবস্থিত জাতীয় মসলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
মসলা গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর জাতীয় মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ জুলফিকার হায়দার মাননীয় রাষ্ট্রদূত ও টিমের সদস্যদের স্বাগত জানান। জাতীয় মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সভাপতিত্বে সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ ও ইরানে বিভিন্ন ধরনের মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদন নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় জাতীয় মসলা গবেষণা কেন্দ্রে উদ্ভাবিত বিভিন্ন মসলাজাতীয় ফসলের জাত নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ জুলফিকার হায়দার প্রধান।
ইরানে উৎপাদিত মসলাজাতীয় ফসলের বাংলাদেশে উৎপাদনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন মাননীয় রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশে ইরানি বিভিন্ন জাতের মসলা উৎপাদনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূতের টিমের মুখ্য সদস্য, বিশিষ্ট রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ও গবেষক Mr. Samsal Islam।
আলোচনা শেষে মাননীয় রাষ্ট্রদূত ও টিমের সদস্যদের গ্রীনহাউস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপাদিত বিভিন্ন মসলাজাতীয় ফসলের সেড পরিদর্শন করান মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। জাতীয় মসলা গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মাননীয় রাষ্ট্রদূত ও টিমের সদস্যদের আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের প্রক্রিয়াজাত গুঁড়ো প্যাকেট উপহার দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রদূতের টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর, যুগ্ম সদস্য সচিব, এনসিপি; Mr. Iqbal, সভাপতি, এস এস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন; কবির উদ্দিন, BNSB Hospital, সিরাজগঞ্জ; Arifur Rahman Akib, ছাত্র প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি।