নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে জামায়াতের এই কর্মী সম্মেলনে রফিকুল ইসলামকে প্রথম সারির চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসাইন বলেন, “জামায়াতের সম্মেলনে অন্য দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার সুযোগ নেই। রফিকুল ইসলাম নামের কাউকে আমি চিনি না।”
তবে উপস্থিত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেননি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি আওয়ামী লীগের পদে আছি, পদত্যাগ করিনি। মুসলমান হিসেবে ইসলামিক প্রোগ্রামে থাকা লাগে। জামায়াতের কর্মী সম্মেলন আমার গ্রামে হয়েছে, তাই আমি গিয়েছিলাম।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা এটিএম মাছুম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহজাহান, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা ইয়াছিন আরাফাতসহ স্থানীয় নেতারা।
জানা যায়, রফিকুল ইসলাম সাবেক অর্থমন্ত্রী ও কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর তিনি কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন এবং পরবর্তীতে জামায়াতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিষয়টি আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।