ওবাইদুল্লাহ আল মাহবুব, ইবি প্রতিনিধি:
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক থেকে তারা একটি র্যালি বের করে। র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়। র্যালিতে শিশুদের হাতে প্রতীকী লাস, ফিলিস্তিনের পতাকা ও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
এসময় তারা “ফ্রম দা রিভার টু দা সি’ প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি”, ” ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন”, “ওয়ান টু থ্রি ফোর ইজরায়েল নো মোর” ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
এসময় সাকসেস বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং এর পরিচালক রায়হান জামিল বলেন, “২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি মুসলমানেরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ, বৃটেন ও আমেরিকার ষড়যন্ত্র ও প্রতারনার শিকার। এছাড়া ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরায়েলের গণহত্যার শিকার। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি শাহাদাত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের রক্ত নিয়ে হলি খেলায় মেতে উঠেছে। ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে তবুও তাদেরকে নগ্ন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা শক্তি সহ আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র আগ্রাসী ভারত। ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য মুসলিম হওয়ার প্রয়োজন নাই, ন্যূনতম মনুষ্যত্ববোধ থাকলেই প্রতিবাদ করা সম্ভব। কিন্তু আমরা যাদেরকে আমরা মানবতার ফেরিওয়ালা বলে থাকি তাদের মনুষ্যত্ব, মানবিকতা মৃত দেখতে পাচ্ছি।”
এসময় ফুলকড়ি আসরের পরিচালক আহমদ আবদুল্লাহ বলেন, “ফিলিস্তিন একদিন স্বাধীন হবে যেটা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বর্ননা করেছেন। ফিলিস্তিনের বিজয় সুনিশ্চিত, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর সহ গাজা ও রাফায় ইহুদিবাদী ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে সেটা তাদের একটি ভুল সিদ্ধান্ত, কারন মুসলমানদের বিজয় এখান থেকেই শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। ”
উল্লেখ্য এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ‘স্টান্ড আপ ফর গাজা’, ‘স্টপ কিলিং’, স্টপ কিলিং চিলড্রেন ইন প্যালেস্টাইন’, ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ প্রতীকী প্লেকার্ড দেখা যায়।