নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণ দাবিতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৩২ জন শিক্ষার্থী। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে ক্যাম্পাসের ‘স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের’ বারান্দায় শুরু হওয়া এই কর্মসূচি টানা চলছে। মঙ্গলবার দুপুরেও শিক্ষার্থীদের সেখানেই অবস্থান করতে দেখা গেছে।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতি ঘটছে। ইতোমধ্যে একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে অনশন ভেঙে চলে গেছেন এবং আরেকজনকে তার অভিভাবক সরিয়ে নিয়ে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দফতর অনশন ভাঙাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দফতরের কর্মকর্তারা আন্দোলনরতদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেছেন। সোমবার সকালে তারা কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন এবং দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানান।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কুয়েটের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য উপাচার্য দায়ী। তার প্রশ্রয়ে বহিরাগতরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়, এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর দায় নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ চায় তারা।
এর আগে, ১৪ এপ্রিল রাতে কুয়েট সিন্ডিকেটের ১০১তম জরুরি সভায় ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে চালু ও হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং পরদিন দুপুরে হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।
উল্লেখ্য, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদল ও শিক্ষার্থী-এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং আন্দোলনে সক্রিয় হন।