নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হৃদয় মিয়াজীকে (২৩) কুমিল্লার তিতাস উপজেলা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তিতাস থানার পুলিশ ও কুমিল্লা র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
হৃদয় মিয়াজী তিতাস উপজেলার দূরলব্দী গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবেও পরিচিত। তাকে মনাইরকান্দি গ্রামে তার মামা হারুন অর রশিদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে কুমিল্লা র্যাব-১১ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্যাহ।
ঘটনার পেছনের বিবরণ:
গত শনিবার বিকেলে পাশের ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে নিয়ে হাসাহাসির জেরে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পারভেজের বাগবিতণ্ডা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, পরে দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়েছিল।
তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পরই ৩০-৪০ জনের একটি দল পারভেজকে ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন নিহত পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ এবং আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।
এ হত্যাকাণ্ড ঘিরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।