ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং ক্লাবের আয়োজনে ‘ক্যারিয়ার টক উইথ কর্পোরেট এক্সপার্টস’ শিরোনামে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) শহিদ সাজিদ ভবন (বিবিএ বিল্ডিং) এর মার্কেটিং বিভাগের ৫১৩ নং কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইমরানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, পিএইচডি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমীন।
এছাড়া অতিথি হিসেবে জবির মার্কেটিং বিভাগের এলামনাইদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহা: আশরাফুল আলম সজল (এরিয়া সেলস ম্যানেজার, ট্রান্সকম বেভারেজেস লিমিটেড-পেপসিকো), মোহা: তারেক আজিজ (এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সেলস কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজ লিমিটেড), মোহা: নাসিম শাহরিয়ার (ক্লায়েন্ট সার্ভিস ম্যানেজার, বার্গার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড), আতিকুর রহমান রিয়াদ (সেলস ম্যানেজার, পারফেটি ভান মেলে বাংলাদেশ লিমিটেড) ,মোহা: হাসানুল হক(সিনিয়র টেরিটরি সেলস ম্যানেজার, রেকিট বেনকিসার পিএলসি),শাফায়েত হোসেন (এক্সিকিউটিভ, ট্রেড সেলস, এশিয়া পেইন্টস বাংলাদেশ)।
মডারেটর হিসেবে মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন মোহা: আনিসুল ইসলাম (ম্যানেজার, প্রোমোশন এন্ড ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট মার্কেটিং, এসিআই লজিস্টিক লিমিটেড)
অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহা: তাজাম্মুল হক, মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক, মার্কেটিং ক্লাবের মডারেটর সহযোগী অধ্যাপক মাহাথি হাসান জুয়েল, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান ফৌজিসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে করপোরেট এক্সপার্ট হিসেবে কর্মরত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ শিক্ষার্থীদের সাথে ক্যারিয়ার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এলামনাই মডারেটর আনিসুল ইসলাম বলেন, “প্রত্যেকটি মুভির শুরুতে একটি সতর্কতাবার্তা থাকে- ‘এই মুভির চরিত্র ও কাহিনী সম্পূর্ণ কাল্পনিক। এর সাথে বাস্তবের কোনো সম্পর্ক নেই।’
কিন্ত আমরা এখানে মতবিনিময় সভায় একবিন্দুও অবাস্তব কোনো আলোচনা রাখবো না। ”
তিনি আরো জানান, “জব ও ক্যারিয়ারের মধ্যে সাধারণ পার্থক্য আছে। জব মানে সাধারণত চাকুরি। আর ক্যারিয়ার হলো আগামী ১০ বছর বা কয়েক বছর পরে আপনি নিজেকে কোন অবস্থায় দেখতে চান সেটাই।
আমার ক্যারিয়ারের গল্পটা একটু বলি। আমার ছাত্র অবস্থায় আমি কর্পোরেট চাকুরিজীবীদের জীবন অনেক বেশি চাঞ্চল্যকর দেখেছি। আমি লক্ষ্য হিসেবে কর্পোরেট জবকে ক্যারিয়ার হিসেবে ঠিক করেছি। এরপর আমি আর সরকারি চাকুরির প্রতি লোভ করিনি। এমনকি আজ পর্যন্ত সরকারি চাকুরি পরীক্ষা দিইনি।
আমি খুব একটা এক্সট্রোভার্ট ছিলাম না। বরং ইন্ট্রোভার্ট ছিলাম। আমার এক আত্মীয় বলেছিল, এই ছেলে তো কথা বলতে পারে না। এই ছেলে মার্কেটিং নিয়েছে। এই ছেলে নিবে একাউন্টিং।
কিন্তু বাস্তবে মার্কেটিং মানে শুধু কথা বলা নয়। বরং পণ্যের মাধ্যমে ক্রেতার সন্তুষ্টি অর্জনের পরিকল্পনা করা, ঠান্ডা মাথায় পণ্যের প্রচার-প্রসারের কৌশল নির্ধারণ করা- এগুলোই মার্কেটিং।”
মোহা: তারেক আজিজ বলেন, “প্রথমদিকে আমি (৬ মাস) জব করতাম স্কয়ারে শুধু সেলস মার্কেটিং এর অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এবং সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে MNCতে এপ্লাই করার জন্য।”
মডারেটর জানান, “কোনো জব শুরু করার পর যদি মনে হয় আমি এখানে দক্ষতা পারছি না, এটা আমার জন্য নয়, বরং আমার চরিত্র অনুসারে ওটা আমার জন্য, তাহলে সাথে সাথে নিজের দক্ষতার জায়গায় সুইচ করা উচিৎ যেটা তারেক করেছে।”
আরেক এলামনাই আতিকুর রহমান রিয়াদ জানান, “আমি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগছিলাম যে আমি কি ইস্পাহানিতে যাবো নাকি রেকিটে যাবো? প্রথমদিকে কাজের পরিবেশের সাথে আমি একেবারেই খাপ খাওয়াতে পারছিলাম না। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে খাপ খাইয়ে নেবার চেষ্টা করি। প্রথমদিকে আপনাদের সবারই পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে কষ্ট হবে। তবে কয়েক বছর এই কষ্টটা করতে পারলে আস্তে আস্তে জব ফিল্ডে ভালো করতে পারবেন।”
মডারেটর আনিসুল ইসলাম জানান, “রিয়াদ শুরু করেন সেলসে। কিন্তু সে শুরুতে মন দিতে পারেননি। পরে সে ধীরে ধীরে খাপ খাইয়ে নেবার চেষ্টা করে।
শুরুটাই যতই কষ্টকর হোক, যদি আপনারা রিয়াদের মতো একটু কষ্ট করে জব জার্নিটার সাথে কয়েক বছর খাপ খাইয়ে নিতে পারেন তবে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হবে।”
সজল জানান, “আমি আমার শুরুর দিকে ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ কনফিউজড ছিলাম। একটা কোচিং সেন্টারে পড়াতাম ভার্সিটি লাইফ থেকে। পরবর্তীতে সন্দ্বীপসহ ঢাকার বাইরে আরো অনেক জায়গায় চাকুরি হয়। কিন্তু আমি ঢাকার বাহিরে যেতে চাইনি। কেননা আমি আমার পরিবারের সাথে ঢাকায় থাকি।
পরবর্তীতে আরো অনেক জায়গায় চাকুরি হয়। কিন্তু আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে বরাবরই কনফিউজড ছিলাম। প্রচুর স্ট্রাগল করতে হয়েছে আজকের অবস্থানে আসতে।”
মডারেটর আনিসুল ইসলাম জানান, “মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির রিকুয়ারমেন্ট শুরুর দিকে বেশ কমপ্লেক্স। তারা আপনার সবটা দেখবে- আপনি কতটুকু কথা বলতে পারেন, আপনি স্কিল কতটা পারেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
শুরুর দিকে বেসিক আইটি স্কিল প্রয়োজন। যেমন: পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেল, বেসিক ফটোশপের কাজ, বেসিক ইলাস্ট্রেটরের কাজ।
এরপর পাওয়ার ভিআই শিখেন।
সজল ভাইয়ের জীবনের কাহিনী থেকে কি জানতে পারি? তিনি প্রতি ধাপে ধাপে কত সমস্যা ফেস করেছেন, কত স্ট্রাগল করতে হয়েছে।
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির রিপোর্টিং বসগুলো শুরুর দিকে আপনাদেরকে সব পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেবার জন্য বেশ রুড বিহেভ করতে পারেন। আপনাকে ধৈর্যের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। পরে আস্তে আস্তে তাদের সাথে সম্পর্ক ভালো হবে।”
তিনি আরো বলেন, “শুধুমাত্র পাবলিক ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট দিয়ে জব বা ক্যারিয়ারে উন্নতি হবে না। বরং পাশাপাশি বিভিন্ন আইটি স্কিল প্রয়োজন।”
নাসিম শাহরিয়ার জানান, “যত জায়গায় ইন্টারভিউ দিয়েছি সব জায়গায় একটা কমন প্রশ্নই সব জায়গায় ফেস করেছি। তা হলো: ‘আপনাকে আমরা কেন নিবো?’ কেন তাদের আপনাকেই বাছাই করবে তা আপনাকে প্রথমদিকে আপনার কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।”
মডারেটর জানান, “নাসিমের কথা থেকে আমরা জানতে পারি, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো শুরুর দিকে আপনাকে অবজার্ভেশনে রাখবে। ”
শাফায়েত জানান, “কর্পোরেট বা সেলস কোম্পানিগুলো এক একটা মাল্টিটাস্কার চায়। যে একইসাথে সব ক্লায়েন্টকে সুকৌশলে খুশি করতে পারে তাদেরকেই তারা চায়।
ভালো সিজিপিএ, রেজাল্ট – আপনাকে চাকুরিতে আবেদন করার নূন্যতম যোগ্যতা পূরণে সহায়তা করবে। কিন্তু এগুলো কখনো আপনার ক্যারিয়ারের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না। বরং স্কিল আপনার ক্যারিয়ারের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
তিনি আরো জানান, ইন্টারভিউতে তারা চায় আপনি নিজেকে যথাযথভাবে রিপ্রেজেন্ট করেন।
এছাড়া অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, “প্রত্যেকের লাইফে যেন তিনটা প্ল্যান থাকে। প্ল্যান এ, প্ল্যান বি, প্ল্যান সি। প্ল্যান এ হলো আপনার জীবনের স্বপ্ন, যা আপনি মনেপ্রাণে চান। কিন্তু কোনো কারণে এটা ব্যর্থ হলে যেন প্ল্যান বি রেডি থাকে। সেটাও ব্যর্থ হলে যেন প্ল্যান সি রেডি থাকে।
সর্বদা লিংকডইনে চোখ রাখুন। আপনি যে জবের জন্য উপযুক্ত নন সেটার জব ডেসক্রিপশনের দিকেও চোখ রাখুন। এতে আপনার জব ডেসক্রিপশনের আইডিয়া হবে।
সিভি তৈরির ক্ষেত্রে অন্যের সিভি কপি করা যাবে না। বরং সিভি হবে নিজের চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সিভিতে তা-ই উল্লেখ থাকে যা আপনি নিজে, যা আপনার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। ”
হাসানুল হক জানান, “এক্সপেরিয়েন্স ইজ ফ্যাক্ট। অভিজ্ঞতা অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্টারভিউ আপনার ক্যারিয়ারে বা জবটা পেতে সহায়তা করবে। সেই সাথে সিভি আপনার জবটা পেতে অনেক বেশি সহায়তা করবে। বিশেষত সিভির অভিজ্ঞতার অংশটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি সেখানে আপনার অতীত কোনো ইউনিক কাজ বা জবের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে পারেন তবে তারা আপনাকে ডাকবে। টপ ম্যানেজমেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
মডারেটর আনিসুল ইসলাম জানান, “আমি আমার প্রথম জীবনে টপ ম্যানেজমেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মার্কেটিং নিয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আর্টিকেল লিখতাম। সেগুলো টপ ম্যানেজমেন্টকে দেখাতাম। তাদেরকে বুঝাতে চাইতাম আমার স্কিল আছে। প্রথমদিকে আমি টাকা খরচ করে বিভিন্ন কোর্স করে করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে একটা বড় পোর্টফোলিও বানিয়ে ফেলেছি। অথচ আমি তখনোও বেকার।”
ক্রিয়েটিভিটির সংজ্ঞা ব্যাখা করতে গিয়ে তিনি আরো জানান, “ক্রিয়েটিভিটি হতে হবে কোয়ান্টিটেটিভ। ক্রিয়েটিভিটি যদি আপনার কোম্পানির লাভ-লোকসানে প্রভাব ফেলতে না পারে তবে ঐ ক্রিয়েটিভিটি কোনো ক্রিয়েটিভিটি না।”
সভা সম্বন্ধে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ” আমাদের এলামনাইগণ তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আপনারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা নিবেন। কিন্তু হুবহু অনুসরণ করবেন না। কেননা হুবহু অন্ধ অনুকরণের মধ্যে কোনো সাফল্য নেই। বরং তাদের কথা শুনে সেগুলোকে নিজের জীবনে নিজের মতো করে কাজে লাগাবেন।”
তিনি আরো জানান, “কোনো রাষ্ট্র তার নিজস্ব লোকেশন বা প্রাকৃতিক সম্পদ বা সর্বোচ্চ শিক্ষা একটি দেশকে উন্নত করতে পারে না। বরং যে রাষ্ট্র তার শক্তিশালী দিক বা সম্ভাবনাকে চিহ্নিত করে সেটার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে পেরেছে সেই রাষ্ট্রই সফল হয়েছে।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শারমিন তার বক্তব্যে বলেন, ” আশা করি আজকের ইভেন্টটি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী হবে।”
জবি উপাচার্য তার বক্তব্যে জানান, ” মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। বর্তমান বিশ্বে মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমি চীনে গিয়েছিলাম। সেখানে ফুলের ব্যবসা থেকে সব কিছুকে তারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় এনেছে। বর্তমান বিশ্বে মার্কেটিং এ চীন এক অনন্য উদাহরণ। মার্কেটিং এর কৌশল দিয়ে তারা বিশ্ববাণিজ্যকে জয় করে নিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে এ ধরনের প্রোগ্রাম অত্যন্ত সহায়ক। সাধারনত মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা কৌশলগত দিকনির্ধারণে সবসময় এগিয়ে থাকে। বিভাগের অ্যালামনাই করপোরেট এক্সপার্টরা এগিয়ে এলে শিক্ষার্থীরা সঠিক দিকনির্দেশনা পাবে।”
তিনি এলামনাইদের উদ্দেশ্যে আরো জানান, “আশা করি আপনাদের কোম্পানিগুলো আমাদের ক্লাবগুলোর সাথে এনগেজ করে দেবেন। আমরা তাতে উপকৃত হবো।”
চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইমরান বলেন, “এই ধরনের প্রোগ্রাম আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই ধরনের প্রোগ্রাম আরো আয়োজিত হবে।
আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে প্রায়ই বলি, আমাদের মস্তিষ্কক্কে বৈশ্বিক বা বিশ্বমানের করতে হবে। আমরা যদি আমাদের মস্তিষ্ককে বাস্তব সমস্যার সাথে পরিচিত করাতে পারি, কিভাবে সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারি তার সাথে পরিচিত করাতে পারি তবে আমাদের মস্তিষ্ক বিশ্বমানের হয়ে উঠবে। শিল্পের সাথে আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে প্র্যাক্টিক্যালি পরিচিত করাতে হবে।”
উল্লেখ্য, প্রশ্ন-উত্তর সেশনের মধ্য দিয়ে মতবিনিময় সভাটি সমাপ্তি হয়।