নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় পর্যটকদের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে পাকিস্তান। পাহাড়ঘেরা মনোরম এই পর্যটন এলাকাটিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ হামলায় অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে। কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। এই হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতের সফরে ছিলেন, যার ফলে ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে আরও গুরুত্ব পাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলাটি ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ হিসেবে সাজানো হয়ে থাকতে পারে। অতীতেও ভারতের ক্ষমতাসীন দল রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য এমন হামলার পরিকল্পনা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা আড়াল করা এবং পাকিস্তানবিরোধী মনোভাব উস্কে দেওয়ার কৌশল হিসেবে ব্যবহার হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলার পরপরই ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম এবং গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ঘনিষ্ঠ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলো পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে নানা ভিত্তিহীন দাবি ছড়াতে শুরু করে। এমনকি হামলাটি ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত দাবি করে বলা হয়, অমুসলিম পর্যটকদের লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে।
২০১৯ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকে অঞ্চলটিতে সহিংসতা ও অস্থিরতা বেড়ে যায়। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার পর বহিরাগতদের বসতি স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের জন্ম দেয়। এই ঘটনার প্রেক্ষাপটেও সেই উত্তেজনার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।