শরিফুল ইসলাম সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় জনপ্রিয় ইসলামী সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব কবির বিন সামাদকে ভূমিদস্যু ও বাটপার বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ কর্তৃক মাহফিলের স্টেজ থেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, হত্যার হুমকির প্রতিবাদে, গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সংগ্রামী তৌহিদী জনতার আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মাজলিসুন মুফাসসিরিন পরিষদের সভাপতি মাওলানা মনিরুল ইসলাম বিলালী এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারী। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা ওসমান গনি, মাওলানা মনোয়ার হোসেন মমিন, মাওলানা আমিনুর রহমান, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন হুজাইফিসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকার ওলামা বৃন্দ ।
মানববন্ধনে হাজার হাজার আলেম ও ইসলামী তৌহিদী জনতা অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান আঃ রউফ পরিকল্পিতভাবে মাহফিল স্টেজে কবির বিন সামাদকে অপমান অপদস্ত করেছে। অনতিবিলম্বে চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ যদি প্রকাশ্যে প্রেস ব্রিফিং করে ক্ষমা না চান, তাহলে আগামী রবিবার সকালে সঠিক বিচারের দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও মানহনি মামলা করা হবে । বক্তার আরো বলেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি ভূমি দস্যু রউফকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।
অতি দ্রুত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে রউফ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যদি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, কোন অপ্রিকরঘটনা ঘটলে তার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। অতি দ্রুত বাটপার বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফের সকল সম্পত্তির তদন্ত করতে হবে এবং গরিবের ঘের দখলকারী আব্দুর রবকে গ্রেফতার করতে হবে। সে ২০০৬ সালেও আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেছিলো। সে সৈরাচারের মত আচারন করেছে। কোন সৈরাচারের জায়গা সাতক্ষীরার মাটিতে জায়গা হবে না।
উল্লেখ্য গত ২৩/০৪/২০২৫ ইং তারিখ আলিপুর চেকপোষ্ট মাদ্রসা ও মসজিদ কর্তৃক আয়োজিত জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ও শিল্পী কবির বিন সামাদ আমন্ত্রিত আতিথি ছিলেন। তিনি আলোচনা পেশ করার সময় আলিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ আমন্ত্রিত আতিথি কবির বিন সামাদকে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় মাহফিলের স্টেজে অশালীনভাষায় অকথ্য গালিগালাজ করেন, থাপড় দিয়ে চোখ বাস্ট করে দেওয়া এবং মারতে উদ্ধত হয়। এ ঘটনায় সারাদেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়