নিজস্ব প্রতিবেদক:
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটির কথা স্বীকার করেছে ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রুদ্ধদ্বার সর্বদলীয় বৈঠকে এই ত্রুটির কথা স্বীকার করা হয়। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
সর্বদলীয় বৈঠকটি ডাকা হয় হামলার পর কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধী দলগুলোকে অবহিত করার জন্য। বৈঠকে বিরোধী দলগুলোর নেতারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, যা কেন্দ্রীয় সরকার মেনে নেয়।
সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, “যদি কিছুই ভুল না হয়ে থাকে, তাহলে আমরা এখানে বসেছি কেন? কোথাও না কোথাও নিশ্চয়ই ত্রুটি হয়েছে, আর সেটাই খুঁজে বের করতে হবে।”
বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, “ঘটনার সময় নিরাপত্তা বাহিনী কোথায় ছিল? সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ) কেন উপস্থিত ছিল না?”
জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের কাছে বৈসরণ এলাকাটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার আগে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে কিছু জানায়নি। সাধারণত জুনের অমরনাথ যাত্রা পর্যন্ত ওই এলাকায় যাতায়াতের ওপর বিধিনিষেধ থাকে।
বৈঠকে এই বিষয়েও উদ্বেগ জানানো হয় যে, ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি করেছে। সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ৪৫ মিনিট হেঁটে পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে হয় এবং এমন জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি ছিল না।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু। তিনি জানান, “সব দল একমত যে, ভারতকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ধরনের হামলার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সরকার যে পদক্ষেপই নিক না কেন, বিরোধী দলগুলো তাতে সমর্থন দেবে।”
লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীও বলেন, “সবাই পেহেলগামের হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছে।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু, রাজ্যসভার নেতা জেপি নড্ডা, বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, রাহুল গান্ধীসহ আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, এনসিপি, শিবসেনা, এসপি প্রমুখ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।