ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কেরানীগঞ্জে একটি আবাসিক এলাকায় অস্থায়ী আবাসন হিসেবে ১০তলা একটি বিল্ডিং বরাদ্দ করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। গত বছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ও ফাউন্ডেশনটির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেখানে প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন সুবিধার কথা থাকলেও বর্তমানে তা ১ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে।
প্রকল্পটির ইনচার্জ মামুনুর রশিদ জানান, “আমরা অস্থায়ী আবাসনের জন্য একটি ভবন বরাদ্দ করেছি। এমনকি একটি ভবনের ছবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। পরে সেই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে সেই ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখে দিয়েছেন, ‘ঈদের পর হল শুরু হবে’।”
তিনি আরো জানান, “ছবিতে ‘আস-সুন্নাহ কর্তৃপক্ষ’ লিখে দেওয়া হয়েছে। হল বিষয়ক আস-সুন্নাহ কর্তৃপক্ষ হলাম আমি। আমি এই অস্থায়ী আবাসন প্রকল্পের ইনচার্জ। অথচ আমার কোনো অফিশিয়াল বক্তব্য বা নোটিশ না নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর মন্তব্য দিয়ে পোস্ট ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে, যা সত্যিই বিভ্রান্তিকর।”
তিনি আরো জানান, “শিপমেন্ট যদি জানায় যে, জাহাজ আটকে গেছে তাহলে সময় আরও ১৫ দিন বেশি লাগবে। এখন আস-সুন্নাহ যদি আগে একটা টাইমফ্রেম ঘোষণা করে এবং পরে যদি শিপমেন্টের বিলম্ব হয়, তাহলে সেটা আমাদের সুনামের দিক থেকে ক্ষতি হবে। আমাদের নিয়ে সমালোচনা হবে যে, কথা দিয়ে কথা রাখতে পারি না। আমরা এমনটা কখনোই চাই না।”
তিনি আরও জানান, “আমরা সর্বাধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে আবাসন সাঁজানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিচেনে রান্না করার আধুনিক সরঞ্জাম থাকবে, যেখানে ২ হাজার শিক্ষার্থীর খাবার অটোমেটিক তৈরি হবে। পুরো ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের সময় লাগবে। আশা করছি আমরা অতি শিগগিরই শেষ করতে পারবো এবং ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। তবে একটা সময় বলে দিয়ে আমরা আশ্বাস দিতে চাই না।”
এদিকে জবির শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ একটি ভবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এক শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে নানা রকম ক্যাপশন দিচ্ছেন। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।