নিজস্ব প্রতিবেদক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আকস্মিকভাবে শত শত শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করে সারা দেশে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল, তা বিবেচনায় নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন বিচার বিভাগের আইনজীবী এলিজাবেথ কার্লান ফেডারেল আদালতকে জানিয়েছেন, ভিসা বাতিলের আগে এখন থেকে শিক্ষার্থীদের রেকর্ড পর্যালোচনা করা হবে। এর জন্য নতুন একটি পদ্ধতি তৈরি করছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত এক হিসাবে দেখা গেছে, দেশের প্রায় ২৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীর ওপর এই ভিসা বাতিলের প্রভাব পড়েছিল। এর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগেই সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী মনে হলে শিক্ষার্থীদের স্ট্যাটাস বাতিল করা হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বিচার বিভাগ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের তথ্য পুনরায় স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ইনফরমেশন সিস্টেমে (এসইভিআইএস) সংরক্ষিত হবে, যেটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে। তবে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এখনও শিক্ষার্থীদের অন্য কোনও অনিয়ম বা অপরাধের ভিত্তিতে রেকর্ড বাতিলের ক্ষমতা রাখবে।
আইনজীবীরা বলছেন, হঠাৎ করে ভিসা বাতিল করা শিক্ষার্থীদের আইনি অধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং তাদের পড়াশোনার পথ রুদ্ধ করেছে।
কলাম্বিয়া ল স্কুলের অধ্যাপক ইলোরা মুখার্জি বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীর জন্য এটি অবশ্যই স্বস্তির খবর, তবে যাদের রেকর্ড এখনো বাতিল রয়েছে, তাদের লড়াই শেষ হয়নি।’
এই বিষয়ে এখনো মার্কিন বিচার বিভাগ ও আইসিই কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য দেয়নি।