মোঃ বাদশা প্রামানিক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত ২ নং ওয়ার্ড শহর শাখার গণসংযোগ ও দাওয়াতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) মাগরিব নামাজের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রী ঘোষিত গনসংযোগ উপলক্ষে নীলফামারী বড় বাজার ট্রাফিক মোড়ে এক বিশাল দাওয়াতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গনসংযোগ এবং দাওয়াতি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী ২নং আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, বাংলাদেশ জামায়াতে জামায়াতে ইসলামীর নীলফামারী জেলা শাখার নায়েবে আমির, ডঃ খায়রুল আনাম। তিনি বলেন গত ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশের সকল ধর্মের শ্রেনীকে বাকরুদ্ধ করে রেখেছিল,, এবং প্রতোক রাজনৈতিক দলের উপর তার নিজস্ব পছন্দ মতো দমন নিপীড়ন হত্যা করেছিল,,এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে তার দলের লোকজন উপাধি দিয়েছিল গনতন্ত্রের কন্যা,কিন্তু তিনি ছিলেন রাজতন্ত্রের ফ্যাসিবাদী কন্যা। তিনি গনবর্ষনের মতো বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকার হরন করে মৃত্যু মানুষকে ভোটের বাক্সে জীবিত দেখিয়ে ক্ষমতার আসন গ্রহণ করেন।এই স্বৈরাচার সরকার জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতৃবৃন্দকে রাজাকার ট্যাগ লাগিয়ে হত্যা জুলুম নির্যাতন করেছিল। বরং গণঅভ্যুত্থানে নিজেই স্বৈরাচারী ট্যাগ লাগিয়ে ভারতবর্ষে পালিয়ে গেল।
তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে করে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উড়ে এসে ঝুরে বসে নেতা বানায় না,, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা নির্বাচিত হয় ভোটের মাধ্যমে, আনুগত্যের মাধ্যমে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শহর শাখার সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান আজাদ(এপিপি), এবং শহর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মামুন অর রশিদ পাটোয়ারী (এপিপি) তিনি বলেন বাংলাদেশের মানুষ এখন বলে আওয়ামীলীগ, বিএনপি দেখার সময় শেষ জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ, জামায়াত ছাড়া এই দেশের মানুষের অধিকার, গনতন্ত্রের অধিকার কোনো দল দিতে পারবে না,কারন অভ্যুত্থানের পর কিছু দল ক্ষমতার চেয়ারে বসার আগে লুটপাট হত্যা ব্যাভিচার শুরু করেছে।আরো বক্তব্য উপস্থাপন করেন
জামায়াত নেতা সাফিউর রহমান শাহ্,২নং ওয়ার্ড ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ,২নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম
(নকল নবিশ নীলফামারী) এবং স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দসহ প্রমুখ।