ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কার এবং প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা ০৭ দফা দাবি জানান।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ, প্রধান ফটক ও শান্ত চত্বর প্রদক্ষিণ করেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে শান্ত চত্বরে তাঁরা সমাবেশ করে। এই সময় আন্দোলনের মুখপাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হুসাইন মুন্না ৭ দফা দাবি পেশ করেন।
দাবিগুলো হলো-
১.৪৫ তম বিসিএস থেকে ভাইভার নাম্বার ১০০ করতে হবে; প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার নাম্বার প্রকাশ করতে হবে।
২. প্রতিটি বিসিএস এর নির্দিষ্ট রোড ম্যাপ ঘোষণা করতে হবে;
৩.সুপারিশ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ভেরিফিকেশনের হয়রানি লাঘবের ব্যবস্থা এবং গেজেট প্রণয়ন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হতে হবে;
৪. ভাইভা উত্তীর্ণ সকলের চাকুরির নিশ্চিত করতে হবে;
৫. এ প্রাইভেট সেন্টার আবেদন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনার লক্ষ্যে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন করতে হবে;
৬.বিসিএস সহ সকল চাকুরি পরীক্ষার ভাইবা বোর্ডে নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হতে;
৭. বিসিএস প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রাদ্ধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে; অন্যথায় নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে।
সাজ্জাদ হুসাইন মুন্না জানান, “৫ আগস্টের পরে এ বিষয় নিয়ে কথা বলা লজ্জাজনক। আমাদের হতাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের রাজপথে নামতে হবে না। সবাই জানে এবং সবার কাছে পানির মত পরিস্কার যে গত বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারে। বিসিএস ভাইবাতে শিক্ষার্থীরা হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
এই সময় পদার্থবিজ্ঞানের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম জানান, “আমাদের জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পরেও পিএসসির সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করতে হবে এটা ভাবিনি। আমাদের দাবি না মানলে জুলাইয়ের মত আবারো রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, “পিএসসি সংস্কার এর জন্য আন্দোলন করেছি এটাই শেষ নয় সংস্কার না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ৪৬ তম বিসিএস এর প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এটাতে কোন সন্দেহ নেই। জড়িত কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এছাড়া উক্ত পরিক্ষা বাতিল করে পুনরায় নিতে। এছাড়া একইদিনে অনেকগুলো পরিক্ষা নেওয়া হচ্ছে যা দুঃখজনক এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।”