নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা আলমের পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা, মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে নারী বিবেচনায় আদালত তাকে জামিন দেন। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এই মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক এবং দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করত এবং পরে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করত।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দেওয়ান সমির কাওয়াই নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এছাড়া মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানেও তিনি যুক্ত ছিলেন। এসব প্রতিষ্ঠানে আকর্ষণীয় ও সুন্দরী মেয়েদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করা হতো।
মামলার তদন্তে জানা গেছে, দেওয়ান সমির তার ব্যবসাকে লাভজনক করার উদ্দেশ্যে সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল করে বড় অংকের অর্থ আদায় করতেন।
গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১২ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় দেওয়ান সমিরের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। একইভাবে ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার মামলায় মেঘনার পাঁচদিনের রিমান্ড এবং ২২ এপ্রিল আরও চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। রিমান্ড শেষে গত ২৭ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।