‘অস্তিত্বহীন’ প্রতিষ্ঠানের সনদ নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে (বহুমুখী) কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পান শফিকুর রহমান। চাকরি করেন দীর্ঘ ১৮ বছর। কম্পিউটার অপারেটর থেকে বনে যান শিক্ষক। এমপিওভুক্ত হয়ে পেয়েছেন টাইম স্কেল ও উচ্চতর স্কেলও।
২০২৩ সালের নভেম্বরে ধরা পড়েন জাল সনদধারী এ শিক্ষক। একই প্রতিষ্ঠানের মো. মোকাররম হোসেন নামের আরেকজন শিক্ষকের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। এতে তার সনদ জাল ও নিয়োগ অবৈধ বলে প্রমাণিত হয়।
ডিআইএ’র প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত মার্চে শফিকুর রহমানের এমপিও স্থগিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এরপর থেকে এমপিও ফিরে পেতে মরিয়া জাল সনদধারী এ শিক্ষক। এমপিও ফিরে পেতে শফিকুর মাউশির বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান ও মাউশি সূত্র।
যদিও এমপিও ফিরে পেতে মাউশিতে ধরনা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শফিকুর রহমান। স্কুলের প্রধানশিক্ষক জানিয়েছেন, মাউশি তার এমপিও বাতিল করায় তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মাউশি যদি আবার অন্য কোনো নির্দেশনা দেয়, সেটা প্রতিপালন করা হবে।