পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অভিনেত্রী নাসরিন আক্তার নিপুণ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে রিট করেছেন। একই সঙ্গে রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়। পাশাপাশি তদন্ত চাওয়া হয়েছে নির্বাচনের।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিগত নির্বাচনের পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ রিটটি করেন। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণ বলেন, ‘নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।’
বুধবার (১৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এই রিট করেন।
নিপুণ আরও বলেন, ‘আমি নির্বাচনের পর দিনই এ বিষয়ে রিট করতাম। কিন্তু নির্বাচনের পরিশ্রম এবং নির্বাচনের রাতে নির্ঘুম থাকার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম, তাই ওই সময় আইনি পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এরপর মেয়ের গ্র্যাজুয়েশনের জন্যে দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসতে হয়। আমি দ্রুত দেশে ফিরে এসে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতেও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবো।’
নিপুণের দাবি এবারের নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের রাতে কমিশন থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয়েছিল আমি যেন বাসায় চলে যাই। মিশা-ডিপজল প্যানেলের চেয়ে আমি অনেক পিছিয়ে আছি। কমিশন ফলাফল ঘোষণার আগে রাত ১টায় কীভাবে এটা জানলো? সকালে যখন ফলাফল ঘোষণা হলো তখন দেখলাম আমার সঙ্গে ডিপজল ভাইয়ের মাত্র ১৬ ভোটের পার্থক্য। আমাদের ইসি ও পোর্টফোলিও থেকে টোটাল ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে। সেগুলো আমাকে দেখানো হয়নি। তারপর আমি খবর পেলাম আপিল করে লাভ হবে না। কারণ আপিল বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। তাই আমি দেরিতে হলেও বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি সত্যের পথে। সত্য ও ন্যায়ের জন্য লড়বই।’