বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন ২০১১-১২ সালে। এরপর দায়িত্ব নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। সে হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নাড়ি-নক্ষত্রের কোনো কিছুই অজানা নেই স্টুয়ার্ট ল’র।
বাংলাদেশের কোচিংয়ে দায়িত্ব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হয়েছেন ল। প্রথম সাক্ষাতেই সাবেক শিষ্যদের হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিজ জিতিয়েছেন তিনি। এত বছর ধরে ক্রিকেট খেললেও বাংলাদেশ যে খুব বেশি উন্নতি করতে পারেনি, তা সাবেক এই কোচের কাছে স্পষ্ট।
দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে পর্যবেক্ষণ করেছেন ল। যে কারণে টাইগার ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে তার কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ, নিজের চোখে সবকিছু দেখেছেন তিনি।
আর কেনই বা বলব্নে না ল? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকেই খেলে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত একবারও নকআউট পর্বে খেলার স্বাদ পায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এতেই প্রমাণ হয়, বিশ্বকাপে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের অর্জন বলতে আসলে কোনো কিছুই নেই।
সম্প্রতি কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘আল জাজিরা’কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ল। সেখানেই বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেন তিনি। সে সাক্ষাৎকারে ল জানিয়েছেন, গত ২৫ বছরে ক্রিকেটে এগোয়নি বাংলাদেশ।
ল বলেন, ‘মনে হয় এখন পেছনে ফিরে দেখা ও নতুন বিষয়ে চিন্তা করার সময় হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ২৫ বছরেও এগোয়নি। তারা যত কিছুই করুক না কেন, কোনো কৌশলই কাজে লাগেনি। আমার মনে হয়, সেখানে সামান্য পরিবর্তন আনার সময় এসেছে।’
তবে বোর্ডে উপর কোনো দোষ চাপাতে নারাজ ল। সেক্ষেত্রে তারা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সব দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
ল বলেন, ‘বর্তমানে যারা নীতি-নির্ধারক আছেন তাদেরকে খাটো করতে বলছি না, কিন্তু তাদের খেলার সবদিক নিয়ে দেখা দরকার।’
এত ব্যর্থতার মধ্যেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে সম্ভাবনা দেখতে পান ল। এক্ষেত্রে বড় অবদান রাখতে পারে তরুণ ক্রিকেটাররা, এমনটি মনে করছেন তিনি। তরুণদের যদি ভালোভাবে তৈরি করে তোলা যায়, সামনের দিকে ক্রিকেটে উন্নতি করতে পারবে বাংলাদেশ।
ল বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি তরুণদের উন্নয়নের পর্যায়টা দারুণভাবে সম্পন্ন করতে পারে, ১২-১৬ বছর বয়সের তরুণদের তুলে এনে ভালো খাবারদাবারের পরিকল্পনা এবং ফিজিক্যাল ফিটনেসের ভালো ভিত্তি দেয়, তখন বিশ্ব ধরাছোঁয়ার বাইরের বাংলাদেশকে দেখতে পারে।’