ইসরায়েল জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের কথা ভাবছে। জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিশেষ দূত গিলাদ এরডান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ শিশুদের ওপর হামলা ও হাজার হাজার শিশুর মৃত্যুর কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ‘অপরাধী’ দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে জাতিসংঘ।
সে সময়ই ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, এই পদক্ষেপের কারণে জাতিসংঘের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং জাতিসংঘকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ইসরায়েল জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের কথা চিন্তা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের একটি রেডিও চ্যানেলকে গিলাদ এরডান বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ইসরায়েল তার ভূখণ্ড থেকে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের দেশটি থেকে প্রত্যারের এবং ইসরায়েলের ভালো–মন্দ বিবেচনা করার সময় এসে গেছে।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির পরিকল্পনায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তার দিয়েছে হামাস। এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন হামাসের উদ্দেশে বলেছেন, দরকষাকষি বন্ধের সময় এসেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, কিছু পরিবর্তন প্রস্তাব নিয়ে কাজ করা গেলেও অন্যগুলো নিয়ে কাজের সুযোগ নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং আলোচনার মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশর এই চুক্তিটির জন্য চেষ্টা করে যাবে।