ইসরায়েলের সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইরান সমর্থিত লেবাননের সংগঠন হিজবুল্লাহ। প্রায় ১০ মিনিটের ওই ভিডিওটি ড্রোন দিয়ে ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে বিপদেই পড়ে গেছে ইসরায়েলের এসব গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা। ইসরায়েল আশঙ্কা করছে, যে কোনো সময় এসব স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে হিজবুল্লাহ ও হামাস।
ধারণ করা ওই ভিডিওতে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনার গোপন অবস্থান প্রকাশ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে। হিজবুল্লাহর প্রকাশিত ওই ভিডিওটির কিছু অংশ দিনের বেলায় ধারণ করা। ভিডিওতে ইসরাইলের লেবানন সীমান্ত থেকে দক্ষিণে অবস্থিত হাইফা বন্দরের জনবহুল শহর কিরাওতের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। ভিডিওর অন্য অংশে হাইফার কাছে সামরিক কমপ্লেক্স, যেখানে ইসরায়েলের রাফায়েল অস্ত্র তৈরি হয়, সেই কারখানা দেখানো হয়েছে।
এ ছাড়া ভিডিওতে দেখানো হয়েছে আইরন ডোম ব্যাটারি, ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার এবং রাডার স্থাপনা কেন্দ্রও। পাশাপাশি ভিডিওতে ইসরায়েলের সামরিক যান, জাহাজ এবং তেলের ডিপোও দেখানো হয়।
ঘটনার পর হিজবুল্লাহকে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কার্টজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘হিজবুল্লাহ ও লেবাননের বিরুদ্ধে আমরা খেলার নিয়ম পরিবর্তনের খুব কাছাকাছি যাচ্ছি। যে কোনো মুহূর্তে সর্বাত্মক যুদ্ধে হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা হবে। ভয়াবহ আঘাত করা হবে লেবাননকে।’
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরদিন থেকে লেবাননের ইরান সমর্থিত অস্ত্রধারী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে হিজবুল্লাহর স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করে আসছে ইসরায়েলও। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী প্যারামিলিটারি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে আঘাত করার ব্যাপারে ইসরায়েলকে সতর্ক করছে। তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দুই দেশের মধ্যেই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।