মহব্বত নামের এক স্বামী ঠাকুরগাঁওয়ে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূর গায়ে আগুন দিয়েছেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূ লতা বেগম (২৫) তিনদিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তার শরীরের প্রায় অর্ধেক অংশেই পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় স্বামী মহব্বতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার বারোঘড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঠাকুরগাও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম জানান, শরীর পুড়ে যাওয়া নারীকে হাসপাতাল থেকে সকল সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। তবে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। অর্থের অভাবে করাতে পারছে না স্বজনরা।
জানা গেছে, ৮ বছর আগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার বারোঘড়িয়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মহব্বর আলীর সাথে বিয়ে হয় লতা বেগমের। এই দম্পতির এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। লতা বেগমকে না জানিয়ে চার মাস আগে মহব্বত আলী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে যৌতুক ও তালাকের জন্য নিয়মিত লতার উপর নির্যাতন চালানো হতো। গেল সোমবার সকালে মহব্বত যৌতুকের জন্য লতাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ডিজেল তার শরীরে ঢেলে প্রকাশ্যে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী মহব্বত আলী। এ সময় পাশে থাকা মহব্বরের মা-বাবা লতাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, যৌতুক ও দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটি হতো তাদের মধ্যে। মহব্বত এসব বিষয়ে প্রায় নির্যাতনও করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।