স্বাদ ও মানে অনন্য হওয়ায় সারাদেশেই খ্যাতি অর্জন করা নওগাঁর আম ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম কুরিয়ার সার্ভিস। তবে নওগাঁর আমে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কমপ্লিট শাটডাউনের প্রভাব পড়েছে। সময়মতো গন্তব্যে না পৌঁছানোর কারণে ৭২৫ মণ আম পচে নষ্ট হয়েছে কুরিয়ারে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৪-১৫ লাখ টাকা।
নওগাঁর সাপাহারে অবস্থিত কুরিয়ার এবং পার্সেল সার্ভিসগুলোর ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৭ ও ১৮ জুলাইয়ের বুকিংকৃত বেশিরভাগ আম রাস্তায় নষ্ট হয়েছে। এর পরিমাণ অন্তত ১৪৫০ ক্যারেট (প্রতি ক্যারেট ২০ কেজি)।
বুধবার (১৭ জুলাই) প্রতিমণ আম্রপালি আম বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায়। বারি-৪ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকায়। এছাড়া ফজলি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৮০০ এবং ব্যানানা ম্যাংগো ৫ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। ১৪৫০ ক্যারেট (৭২৫ মণ) আমের সর্বনিম্ন মূল্য দুই হাজার টাকা ধরে হিসাব করলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪-১৫ লাখ টাকা।
ওমর ফারুক নামের এক তরুণ উদ্যোক্তা বলেন, ‘১৭ জুলাই এ জে আর কুরিয়ারে ৪০০ কেজি আম (২০ ক্যারেট) আম বুকিং করেছিলাম। কিন্তু সব আম রাস্তাতেই নষ্ট হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গ্রাহককে আবার আম পাঠানো লাগবে।’
আরেক উদ্যোক্তা সেলিম হোসেন বলেন, ‘স্টেডফাস্ট কুরিয়ারে ৭০০ কেজি আম (৩৫ ক্যারেট) দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য বুকিং করেছিলাম। তবে শাটডাউনে সব আম নষ্ট হয়েছে। যার সর্বনিম্ন বাজারমূল্য ৮০ হাজার টাকা।’