বিজিএমইএ বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতিতে কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকা এবং অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর ওপর যেন বাড়তি কোনো চাপ তৈরি না হয় সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে ।
সোমবার (২৯ জুলাই) এক সভায় আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের প্রতি এ অনুরোধ জানায় তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। বিকেল ৩টায় উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে বাংলাদেশে অবস্থিত বিশ্বের নামিদামি পোশাক ক্রেতা প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ সভা হয়।
সভায় বাংলাদেশে সম্প্রতি ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্রেতারা। একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ এবং আগামী দিনে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সভা শেষে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, সভায় আমরা গত ১৮ জুলাই শুরু হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এবং তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেছি। শিল্পের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখতে এবং সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিজিএমইএ’র পদক্ষেপগুলো ক্রেতাদের জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পাঁচদিন বন্ধের সময় আমরা বেশকিছু উৎপাদন এবং রপ্তানি হারিয়েছি, আমাদের মার্কেটিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কারখানাগুলো আর্থিকভাবে এবং সাপ্লাই চেইনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা যখন টিকে থাকার জন্য চেষ্টা করছিলাম, সেসময় এ রকম একটি পরিস্থিতি আমাদের শিল্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
তিনি বলেন, আমি চলমান পরিস্থিতিতে কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার জন্য ক্রেতাদের আহ্বান জানিয়েছি। অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর ওপর যেন বাড়তি কোনো চাপ তৈরি না হয় সে বিষয়ে ক্রেতাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছি। সেই সঙ্গে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির প্রভাব কমাতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ ও সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।