কদিন আগেও যারা স্বৈরাচারের শাসনামলে বৈধপথে দেশে টাকা পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর তারাই এখন হুমড়ি খেয়ে পাঠাচ্ছেন রেমিট্যান্স। দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, অমেরিকার প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
প্রবাসী আয় তৈরি পোশাক শিল্পের পর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে সম্প্রতি দেশে টাকা পাঠাতে বেঁকে বসেন প্রবাসীরা। অন্ধকার দূরে ঠেলে নতুন বাংলাদেশের দায়িত্বে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি এখন ভরসা প্রবাসীদের।
প্রবাসীরা বলছেন, ‘গত কয়েকদিন আগে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম দেশে রেমিট্যান্স পাঠাব না। তবে বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আমরা অবদান রাখতে চাই।’
আলোঝলমলে অভিজাত প্যারিসেও আছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। এদের অনেকেই সম্পৃক্ত অল ইউরোপ বিজনেস কমিউনিটির সঙ্গে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের সম্পৃক্ত করতে পরলে দ্রুত ইতিবাচক ফল আসবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। এর বড় অংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে। ফ্রান্সেও আছে অপার সম্ভাবনা। উপযুক্ত পরিকল্পনায় এ সুযোগ কাজে লাগাতে চান ব্যবসায়ীরা।